কাগজ প্রতিবেদক : দুর্গোৎসব চলাকালে দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু ও ৬১১ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। এছাড়া এই সহিংস ঘটনায় ৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার এবং ৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ৪ শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এসব তথ্য তুলে ধরে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি দীনবন্ধু রায়, সিনিয়র সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য ও নারীবিষয়ক সম্পাদক প্রতীভা বাকচী বক্তব্য রাখেন।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের মোট ২৫টি জেলায় আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩১টি মন্দির ভস্মীভূত করা হয়। ভাঙচুর করা হয় ২২৭টি পূজামণ্ডপ। ২৪১টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। ৭৪৭টি বাড়িঘরে হামলা, ৯৯৪টি প্রতিমা ভাংচুর ও আগুনের ঘটনা এবং ৩১টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১১ হাজার ৫০৭টি হিন্দু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছে। এতে মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা। হামলার প্রতিবাদ করায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৭ জনকে ডিজিটাল সিকিউরিটি নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৩ অক্টোবর হামলা শুরুর পর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটি, নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটি ও সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির ৭০ থেকে ৮০ জন সদস্য এসব তথ্য সংগ্রহ করেন।