দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

কালাইয়ে লেপ-তোশকের দোকানে ভিড়

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : কালাইয়ে শীতের শুরুতেই লেপ-তোশক তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। নভেম্বর মাসে দিনে গরম আর রাতে বইছে শীতের হিমেল হাওয়া। প্রতি রাতে রাতেই বাড়ছে শীতের প্রকট। হাড় কাঁপানো শীত না নামলে ও ঋতু পরিবর্তনে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ আর সেই শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা।
সরেজমিনে উপজেলার মোলামগাড়ীহাট বাজার, মাত্রাই বাজার, মোসলেমগঞ্জ বাজার, পুনট বাজার ও উপজেলা সদরের আলুহাটির মোড় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কারিগরদের লেপ-তোশক তৈরির একই চিত্র। পুনট বাজারের দোকানি ও কারিগর জাহেদুল ইসলাম বলেন, এটাই আমাদের লেপ-তোশক তৈরির মৌসুম। এ সময়ই মোটামুটি ব্যবসা ভালো হয়। বছরের অন্য সময় হটাৎ দু-একটা কাজ হয়।
উপজেলা সদরের আলুহাটির মোড় এলাকার কারিগর ফিরোজ হোসেন বিজু, রফিকুল ইসলাম, রামলাল রবিদাস, বিকাশ চন্দ্র ও শাহারুর ইসলাম বলেন, সাইজ অনুযায়ী আমরা ১টি লেপের মজুরি বাবদ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং তোশক ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতিটি বালিশ ৫০ থেকে ৭০ টাকা পেয়ে থাকি। দিনে গড়ে ৫ থেকে ৬টি কাজ করা যায় তা দিয়েই মোটামুটি আমাদের সংসার চলে। লেপ-তোশকের খোল তৈরির দর্জি নুর মোহাম্মদ, মইনুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা প্রতিটি লেপ ও তোশকের খোল তৈরি করে মজুরি ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত পাই। দিনে ৫-৭টি কাজ গড়ে পাওয়া যায় তা দিয়েই মোটামুটি সংসার চলে। তবে আরো বেশি শীত নামলে কাজ বেশি হবে।
লেপ-তোশক কিনতে আসা ক্রেতা মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা শাপলা বেগম, পুনট পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম গফুর, আঁওড়া গ্রামের সোহরাব হোসেন, চাকলামুয়া গ্রামের সুলতান হোসেনসহ আরো অনেকেই জানান, দিনে গরম থাকলেও রাতে ঘুমানোর সময় শীত পড়ে, তাই পুরোপুরি শীত নামার পূর্বে আগেভাগেই লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার দিলাম, তাছাড়াও পরে আবার কাজের বেশি ভিড় হতে পারে। ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম, ধলু মুন্সী ও নুরুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় কাপড়, তুলা ও মজুরির দাম বেশি হওয়ায় লেপ-তোশক তৈরিতে খরচ বেশি পড়ছে।

শিমুল তুলা বিচিছাড়া প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত, আঙ্গুরী কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ৩০০ টাকা, আঙ্গুরী পলি প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত, তোশক তৈরির ফোম তুলা প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৪০ টাকা ও গার্মেন্টস তৈরি সাদা তুলা ৭০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ১টি লেপ তৈরিতে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং তোশক তৈরিতে ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ছে। শীতের শুরুতে কাজ একটু কম থাকলেও আশা করা যাচ্ছে শীত বাড়লে ও আমন ধানকাটার পর মানুষের হাতে টাকা-পয়সা আসলে বেচাকেনা আরো বাড়বে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়