দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মেহেরপুর

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মেহেরপুর জেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। দিচ্ছেন নানা উন্নয়নসহ সেবা করার প্রতিশ্রতি। এছাড়াও ভোটারদের মন জয় করতে পানির মতো টাকা খরচ করছেন প্রার্থীরা।
এদিকে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জেলায়। বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। নতুন করে আবারো সহিংসতার আশঙ্কা ভোটার ও প্রার্থীদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া না হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। যদিও প্রশাসন বলছে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর অবস্থানে আছি। এরই মধ্যে গাংনীর মটমুড়া, সাহারবাটি ও মুজিবনগরের মহাজনপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলাও করেছেন প্রার্থীরা।
প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী থাকায় অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। অনেক পদধারী নেতা প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতাও করছে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে। তবে ভোটাররা জানিয়েছেন ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে তারা তাদের পছন্দমতো যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দেবেন। গাংনীর মোহাম্মদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচন নিয়ে যেভাবে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলে তারা তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। মহাজনপুর গ্রামের বৃদ্ধা রোকেলা খাতুন বলেন, ভোট আসলে প্রার্থীরা খোঁজ-খবর নেন। ভোট মিটে গেলে আর তাদের দেখা মেলে না। তাই এবার ভেবে-চিন্তে ভোট প্রদান করবেন বলে জানান তিনি।
গাড়াবাড়িয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন, কাথুলী ইউনিয়ন ভারতীয় সীমান্ত এলাকাজুড়ে। ইতোপূর্বে এ ইউনিয়নের ধলা গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তাই সীমান্ত ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করতে হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনসার জানান, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম বলেন, ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে। বিশৃঙ্খলা করলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়