দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

ইংলিশদের বিপক্ষে কঠিন সমীকরণে প্রোটিয়ারা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সেমিফাইনালে যেতে হলে আসরের হট ফেবারিট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় পেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কারণ রানরেটে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পায়, তাহলে এটাই একমাত্র উপায় প্রোটিয়াদের জন্য। এমন সমীকরণে আজ শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে টানা চার ম্যাচ জিতে গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত ইয়ন মরগানদের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজকের সবকটি ম্যাচই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। কারণ জয়-পরাজয়ের সমীকরণই বলে দিবে কারা যাচ্ছে চলতি বিশ্বকাপের শেষ চারে। গ্রুপ-১ এ নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের মোকাবিলায় মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে প্রোটিয়াদের। কারণ অজিরা হারলে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় তুলতে পারলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে প্রোটিয়াদের। তবে তারা ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জয় পেলে তখন সমীকরণ কঠিন হয়ে যাবে ডেবিড মিলারদের। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুধু জয় নয়, জিততে হবে বড় ব্যবধানে। কারণ সমান পয়েন্টে থাকা দুদলের মধ্যে রানরেটে এগিয়ে থাকা দুদলই যাবে শেষ চারে। চার ম্যাচের মধ্যে সমান তিন ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু রানরেটে এগিয়ে থাকায় প্রোটিয়াদের তুলনায় এগিয়ে আছে অজিরা। গ্রুপ-১ থেকে ইতোমধ্যে আসর বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে পাঁচবার। সে পরিসংখ্যানে অবশ্য এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ বারের দেখায় তিনবারই জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। বাকি দুই দেখায় জয় পেয়েছে ইংলিশরা। বিশ্বকাপে দুদলের প্রথম দেখা ২০০৭ সালে ক্যাপটাউনে। নিজেদের ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে ১৯ রানের ব্যবধানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরের আসর, ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ফের দেখা হয় দুদলের। নটিংহামে সেদিন স্বাগতিকদের ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় প্রোটিয়ারা। পরপর দুই আসরে হারের প্রতিশোধ ইংলিশরা তুলে নেয় ২০১০ সালে ক্যারিবীয়দের মাটিতে। প্রোটিয়াদের ১৬৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে ৩৯ রানের বড় জয় তুলে নেয় তারা। ২০১৪ সালে চতুর্থবারের দেখায় ইংলিশদের মাত্র ৩ রানে হারায় প্রোটিয়ারা। ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালোই লড়াই চালিয়েছিল ইংলিশরা। সেদিন বড় লক্ষ্যমাত্রা টপকাতে গিয়ে ৩ রানের আক্ষেপে পুড়ালে, ২০১৬ সালে ঠিকই ২৩০ রানের লক্ষ্য ছুয়ে ফেলেন ইংলিশরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হাসিম আমলা, ডি কক, ও জেপি ডুমিনির ফিফটিতে ২২৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা। জবাবে জো রুটের ৪৪ বলে ৮৩ রানের অনবধ্য ইনিংসে ২ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের জয় পেয়ে যায়
বিশ্বকাপ নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুদলের মধ্যে মোট দেখা হয়েছে ২০ বার। সেখানে অবশ্য এগিয়ে ইংলিশরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ জয়ের বিপরীতে ১১ জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। শেষ পাঁচবারের দেখায় সবকটিতে জয় পেয়েছে ইংলিশরা। এদিকে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়েও বেশ এগিয়ে মরগানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান করছে পাঁচে, আর ইংলিশরা আছে শীর্ষস্থানে। তাছাড়া চলতি বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত তারা। চার ম্যাচের একটিতেও হারের মুখ দেখেনি মরগানের নেতৃত্বাধীন দলটি। টানা চার ম্যাচে তারা হারিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে। তার মধ্যে উইন্ডিজকে তো একবারের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ৫৫ রানে বধ করে ৬ উইকেটের জয় তুলেছেন। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ২৬ রানের ব্যবধানে। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ইংলিশ ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে তুলে যাচ্ছেন ঝড়। জেসন রয়, ডেবিড মালান, জনি বেয়ারস্টো, ইয়ন মরগানরা ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারেন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। তবে ঝড় থামানোর ভালো মন্ত্র জানেন প্রোটিয়া বোলাররাও। তাবরিজ শামসি, রাবাডাদের বোলিং তোপে ভেস্তে যেতে পারে ইংলিশ ব্যাটিং দুর্গ। তারপরও প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রাসি ভ্যান ডার ডাসেন, অ্যাইডেন মারকারাম, ডেবিড মিলার, রিজা হ্যাড্রিকস, বাভুমা টেম্বারাও নিতে পারেন বিধ্বংসী রূপ। তবে চলতি বিশ্বকাপে বোলিংয়ের ধার দেখিয়ে যাচ্ছেন ইংলিশ বোলাররাও। আদিল রশিদ ও মইন আলীর স্পিন ঘূর্ণিতে দিশাহারা অবস্থায় পড়েছেন বিপক্ষ দলের ক্রিকেটারা। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৫৫ রানে গুঁড়িয়ে দেয়া দিনে বড় ভূমিকা রেখেছিল এই দুই স্পিনার। আদিল রশিদ ম্যাচটিতে মাত্র ২ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। আর মইন আলি ১৭ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ২ উইকেট। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইংলিশ ফাস্ট বোলীয় শিবির তো আরো দুর্দান্ত। টাইমাল মিলস, ক্রিস ওকস, মার্ক উড, লিয়াম লিভিংস্টোনের গতিতে উড়ে যাচ্ছে বিপক্ষ দলের ব্যাটিং শিবির। তাদের বোলিং নৈপুণ্যে বাংলাদেশের ইনিংস থামে মাত্র ১২৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী ব্যাটিং শিবির থামে মাত্র ১২৫ রানে।
শ্রীলঙ্কাকে তারা বেঁধে ফেলে ১৩৭ রানে। এমন শক্তিশালী বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের জয় তুলে নেয়া হবে কষ্টসাধ্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়