গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

৫ ডাকাত গ্রেপ্তার : প্রবাসীদের টার্গেটে চালক সেজে বিমানবন্দরে বসে থাকত তারা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রবাসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বছরের পর বছর ধরে কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশে পাড়ি জমাতেন প্রিয়জনের কাছে। কিন্তু দেশের মাটিতে পা রাখতে না রাখতেই তাদের কাউকে না কাউকে হারাতে হচ্ছে সহায় সম্বল। বিমানবন্দর কেন্দ্রীক একদল ডাকাত সিএনজি, প্রাইভেটকারের চালক সেজে বসে থাকত বিমানবন্দরের বাইরে। প্রবাসী দেখলেই তাদের প্রয়োজনে কম বাড়ায় সিএনজিতে তুলতো তারা। পরে সুবিধা মত জায়গায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে সর্বস্ব লুটে নিত চক্রটি। বিমানবন্দর কেন্দ্রীয় সক্রিয় ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমনটি জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চক্রটি ডাকাতির জন্য ভোররাতে আসা প্রবাসীদের টার্গেট করত। প্রবাসীদের কেউ কেউ বুঝতে না পেরে ডাকাত চক্রের গাড়িতে উঠত, অন্য গাড়িতে উঠলেও পথিমধ্যে ওঁৎ পেতে থাকা চক্রের সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে সব লুটে নিত।
গত বুধবার রাজধানীতে, মাদারীপুর ও ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো- তৈয়ব আলি, মিলন সরদার, মোছাঃ রীমা আক্তার হ্যাপি, মোঃ মনির হোসেন ও বিপুল দেবনাথ। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়্যারলেস, একটি হ্যান্ডক্যাফ, নগদ ২৩ হাজার টাকা ও লুণ্ঠিত এক কেজি ৩৬৩ গ্রাম স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের টার্গেট করে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করত ডাকাত দলটি। এই দলের সদস্যরা কখনও চালক সেজে প্রবাসীদের নিজেদের গাড়িতে তুলতো, কখনও প্রবাসীদের ভাড়া করা গাড়ি ফলো করত।
সুবিধামতো জায়গা পেলেই ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা প্রবাসীর গাড়ি এসে ঘিরে ধরত। পরে হাত-পা বেঁধে লুট করে নিত টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার।
সম্প্রতি প্রবাসী রাসেল ও সাইফুল কাওলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজিযোগে গাবতলী যাচ্ছিলেন। আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ রোডে সিলভার রঙের একটি গাড়ি তাদের সিএনজির গতিরোধ করে। পরে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তে ডাকাত দলের এই সদস্যদের তালিকা বের হয়ে আসে।
ডিবি প্রধান বলেন, এমন ঘটনা ঘটলেও ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ থানায় মামলা কিংবা অভিযোগ করেন না। এরুপ চক্রের কবলে পড়া ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়