গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

ভাড়া বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক : খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ মহাসচিব, পরিবহন মালিক সমিতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হঠাৎ করে জ¦ালানি তেলের দাম বাড়ানো পর পরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর দাবিও যৌক্তিক বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ। তিনি বলেছেন, গত দুই বছরে করোনার সময় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারপরও দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পণ্য পরিবহনে পরিবহন সেক্টরের কর্মীরা সচল ছিলেন। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা লোকসান দিয়ে বাস চালিয়েছে। গত ৮ বছরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দূরপাল্লার রুটে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। অথচ এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের গাড়ির চেসিস, টায়ার, টিউব, খুচরা যন্ত্রাংশের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। সরকারের দপ্তরগুলোতে সেবা দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর ও ফি বাড়িয়েছে। তারপরও কোনো রুটের বাস-ভাড়া বাড়ানো হয়নি। দিন দিন পরিবহন ব্যয় বাড়ছে, মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গত দুই বছরে বাস-মালিকরা ব্যাংক ঋণের কিস্তি দিতে পারেননি। অনেক বাস-মালিক দেউলিয়া হয়ে গেছেন। বড় পরিবহন কোম্পানিগুলো কোনোমতে টিকে থাকলেও ছোট মালিকরা এখনো ব্যাংকের টাকা দিতে পারছেন না। এই অবস্থায় জ¦ালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি এক লাফে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটা অযৌক্তিক। তেলের দাম বাড়ানোর সময় ভাড়াও বাড়ানো উচিত ছিল।
তিনি বলেন, আমরা এখন নিরুপায় হয়ে বাসের ভাড়া বাড়ানোর জন্য বিআরটিএতে আবেদন করেছি। আগে কয়েকরার ভাড়া বাড়ানোর আবেদন করলেও তা বাড়ানো হয়নি। তেলের অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধে আমাদের হিমশিম খেতে হবে। ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, সড়কের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ও ব্রিজের টোল বাড়ছে। এই টোল পরিবহনগুলোকেই পরিশোধ করতে হয়। টোল বাকি রেখে কোনো পরিবহনই চলতে পারে না। যাত্রীর ভাড়া থেকেই এই ব্যয় বহন করতে হয়। এখন লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বেশি দিয়ে তেল কিনে বাস চলতে পারে না। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ভাড়াও যৌক্তিকভাবে বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের দাবির শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা সরকারের কাছে ভাড়া বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছি, কোনো পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেইনি। তবে ভাড়া না বাড়ালে পরিবহন মালিকরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে রাজি হচ্ছেন না। আমরা বিআরটিএ চেয়ারম্যানের কাছে ভাড়া বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি। ওই চিঠিতে জরুরিভিত্তিতে বাস ও অন্যান্য গণপরিবহনের ভাড়া বাড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তেলের দাম এত বাড়িয়ে বাস চালালে মালিকদের লাভের বদলে অব্যাহতভাবে লোকসান গুনতে হবে। তারা ভর্তুকি দিতে রাজি নন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়