গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

ব্যর্থতা ভুলে এবার পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে ভাবতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এবার বিশ্বকাপে টাইগারদের পারফরমেন্স ছিল হতাশাজনক। বোলিং-ব্যাটিং কোনো বিভাগেই জ¦লে উঠতে পারেননি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে ওভার কনফিডেন্সের কারণে। সুপার টুয়েলভের ৫ ম্যাচে হেরেছে বাড়তি চাপ নেয়ার কারণে। সুপার টুয়েলভে নিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭১ রান করেও হেরেছে টাইগাররা। ওই ম্যাচে আরো ১০ থেকে ১৫ রান বেশি হলে ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। এই ১০-১৫ রানের আক্ষেপে পরবর্তী ম্যাচে তাড়াহুড়ো করে রান তুলতে তৎপর ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচগুলোয় টাইগার ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই ঝড়ো গতির ব্যাট করতে গিয়ে উইকেট বিসর্জনের মিছিলে নেমেছে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শুরু থেকেই বড় স্কোর গড়ার বাসনা কাজ করেছে। বিশেষ করে টপঅর্ডারের কথা না বললেই না। এ বিশ্বকাপে টাইগার টপঅর্ডার ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছে। শুধু টপঅর্ডার নয় মিডল অর্ডারও ব্যর্থ ছিল। সুপার টুয়েলভের ৫ ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৯৫ রান। লিটন দাস ৫ ম্যাচে করেছেন ৯৩ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫ ম্যাচে

করেছেন ৭৯ রান। এ তিনজন যদি একটু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতেন তাহলে ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে কীভাবে গেম প্ল্যান সাজাতে হয়, তা এবার সাজাতে পারেনি টাইগাররা। ব্যাটসম্যানরা শট সিলেকশনে বেশ ভুল করেছে। বাজে বল খেলতে গিয়ে উইকেট বির্সজন দিয়েছে। যেখানে সিঙ্গেল নিয়ে খেলা উচিত, সেখানে ব্যাট চালিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়েছেন। পাকিস্তান-ভারতের ব্যাটসম্যানরা প্রথম ১০ ওভারে একটু ধীরে শুরু করলেও পরবর্তীতে বেপরোয়া হয়ে ব্যাট চালিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছেন। আমাদের ব্যাটসম্যানরা প্রথম ৪-৫ ওভারেই ২-৩ উইকেট হারিয়ে দলকে চাপে ফেলেছেন।
টাইগার বোলাররাও ভালো বল করতে পারেননি। কাটার মাস্টার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মেহেদী হাসান প্রথম দিকে ভালো বল করলেও পরবর্তীতে সেই মান ধরে রাখতে পারেননি। ফিল্ডিং ছিল আরো হতাশাজনক। বেশ কয়েকটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন টাইগার ফিল্ডাররা। এবার বিশ্বকাপে টাইগারদের শুরুটাই হয়েছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে। ওমান আর পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে এসে শ্রীলঙ্কা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে জয় পেলেও পেতে পারত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৩ রানের হারটা ছিল হৃদয় ভেঙে দেয়ার মতো। তবে এর বাইরে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা।
ব্যর্থতা ভুলে এবার টাইগারদের পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে ভাবতে হবে। যেখানে যেখানে ভুল হয়েছে, তা শুধরে নিতে হবে। সময় হাতে বেশি নেই। ১৯ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ঘরের মাঠে প্রতিটি দল তাদের মনের মতো করে উইকেট বানিয়ে ফায়দা লুটে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও টাইগারদের ফেভারে উইকেট বানানো উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়