গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

‘মুজিববর্ষে শপথ করি, দুর্যোগে জীবন-সম্পদ রক্ষা করি’- এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গতকাল থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২১। সারাদেশে অগ্নি-নিরাপত্তা জোরদার করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। প্রতি বছর নিয়মমাফিক ফায়ার সপ্তাহ পালিত হলেও স্টেশন বাড়ানো ছাড়া এই সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানো বিষয়ে মনোযোগ নেই। অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও অব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে প্রতিদিন ঝুঁকি বাড়লেও সেভাবে উন্নয়ন ও বিকাশ হচ্ছে না আগুন নির্বাপক কর্তৃপক্ষের কর্ম ও ক্ষমতার পরিধির। এ কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে প্রায় সবখানেই। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতার দুর্বলতা আরো স্পষ্ট হয়েছে। সর্বশেষ রাজধানীর ডেমরায় কোনাপাড়ায় ১০ তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ড, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাতেও হিমশিম খেতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসকে। দিন দিন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কাজের পরিধি বাড়লেও বাড়েনি উপযোগী সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা। জনবল সংকট, সরঞ্জাম থাকলেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবলের অভাবসহ নানা সমস্যার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই বাহিনীর। ফলে ফায়ার সার্ভিসের পরিপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জনগণ। ১০ বছর আগে সারাদেশে ২০৪টি ফায়ার স্টেশন থাকলেও বর্তমানে এর সংখ্যা ৪৩৬টি। অথচ বর্তমানে এ অধিদপ্তরের প্রাধিকারপ্রাপ্ত মোট জনবল ১৩ হাজার ১১০ জন। কর্মরত আছেন ১০ হাজার ৮৯৩ জন। যার মধ্যে ফায়ারম্যানের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও কারখানা থাকলেও তার সঠিক হিসাব নেই ফায়ার সার্ভিসের। এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্ণয়ের পর চিঠি দিয়ে সাবধান করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না তাদের। অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩-এর ৭ ধারা অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণ ছাড়পত্র ছাড়াই তৈরি হয়েছে অনেক বহুতল ভবন। এর প্রধান কারণ আইন অনুযায়ী সাত তলার উপরে (২০ ফিট) গেলে সেটির ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন দরকার। কিন্তু রাজউক ১০ তলা পর্যন্ত অনুমোদন দিয়ে থাকে। ফলে ফায়ার সার্ভিস অ্যাকশনে গেলে রাজউকের অনুমোদন দেখে কিছু করার থাকে না। আবার আইন কার্যকর করতে হলে অন্য কোনো সংস্থার সহায়তা নিতে হয়। মাঝে একবার ফায়ার সার্ভিস রুলস অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট চালানোর পরিকল্পনা থাকলেও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর সেই পরিকল্পনাও বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার পরিধি বাড়ানোও খুব দরকার। জোগান দিতে হবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির, আধুনিক প্রযুক্তির। বাড়াতে হবে প্রশিক্ষিত লোকবল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়