গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

নির্বাচনী সহিংসতা : নরসিংদীতে দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, নরসিংদী : নরসিংদী সদর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাতে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল ভোরে আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের সময় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানিয়েছেন। নিহতরা হলেন- ওই ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামের কটুমিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৪৫) একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আশরাফুল (২২), আব্দুল মনু মিয়ার মেয়ে খুশি বেগম (৫০)।
তাছাড়া আরো একজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সরকার দীপু। তবে তিনি তার নাম বলতে পারেননি। পুলিশ কর্মকর্তা সাহেব আলী বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের দ্ব›দ্ব চলছিল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দ্ব›দ্ব প্রকট হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সকালে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশ যাওয়ার আগেই তিনজন নিহত হন। আহত হন আরো বেশ কয়েকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা জানান, আলোকবালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সরকার দীপু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আসাদ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে দুজনের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তবে চেয়ারম্যান দীপুর অভিযোগ, নির্বাচনে আসাদউল্লাহ ভাই আমাকে সর্মথন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছিলেন। ভেবেছিলাম তিনি আমার সঙ্গে মিলে গেছেন। কিন্তু নানা অজুহাতে আসাদউল্লাহ ভাই ও তার সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় এবং চারজনকে গুলি করে হত্যা করে। আমি এর বিচার চাই।
৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মামুন হাসান বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তা তারা আগেই টের পেয়েছিলেন। পুলিশকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, সংঘর্ষের সময় তারা পুলিশকে ফোন দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ আসেনি। পুলিশ আসাদুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে তার বাড়ি পাহাড়া দিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নরসিংদী থানার ওসি সওকাতুল আলম।
টেঁটাবিদ্ধ মমিন আলী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, সকালবেলা হঠাৎ গুলির শব্দ আসে। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি আসাদের পক্ষেও লোকজন নেতৃত্বে শত শত লোক অস্ত্র নিয়ে মানুষের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় অনেক বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেয় তারা।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আসাদউল্লাহ আসাদ। তিনি বলেন, এই ঝগড়ায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি দীপুকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। গ্রামে ঝগড়া যেন না হয় সেজন্য ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীসহ পুলিশের সঙ্গে বসেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়