গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি : বিড়ি কারখানাগুলোর ৭০ ভাগই শিশু শ্রমিক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০১৮ সালের এক গবেষণার তথ্য বলছে, বিড়ি কারখানাগুলোতে কাজ করা মোট শ্রমিকের ৫০-৭০ শতাংশই শিশু। তাই বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায়। পঙ্গুত্ববরণ করেন আরো কয়েক লাখ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিএমএ ভবনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান বিশেষজ্ঞরা।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্রে (সিটিএফকে) সহায়তায় গবেষণা ও এডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সবশেষ অবস্থা তুলে ধরেন সিটিএফকে বাংলাদেশ-এর লিড পলিসি এডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।
গণমাধ্যমের করণীয় অংশে আলোচক ছিলেন চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাশরুর জামান রনি, আত্মার কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী, সিটিএফকে

বাংলাদেশ টিমের গ্রান্টস ম্যানেজার এম এ সালাম এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। প্রাপ্ত বয়স্কদের ৪ কোটি ৮ লাখ এবং ৬১ হাজার শিশু পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। তারা আরো বলেন, ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার প্রাথমিক স্কুুলে পড়া ৯৫ শতাংশ শিশুর দেহে উচ্চমাত্রার নিকোটিন পাওয়া গেছে। এছাড়া তামাক ব্যবহারে রয়েছে আর্থিক ক্ষতিও।
‘তামাক মৃত্যু ঘটায়’- জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের জন্য এই কারণটিই যথেষ্ট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তারা।
কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে যেসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়, সেগুলো হচ্ছে, ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্তসহ সব পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি)সহ সব ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বাড়ানোসহ তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়