গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

চীন ভারত যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া বিরত : ১৯০ দেশ-সংস্থার কয়লা ছাড়ার ওয়াদা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চিলির মতো কয়েকটি বড় ব্যবহারকারীসহ বিশ্বের ১৯০ দেশ ও সংস্থা জ্বালানি হিসেবে কয়লাকে বাদ দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। গøাসগোয় চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) এ প্রতিশ্রæতি আসে বলে জানায় যুক্তরাজ্য সরকার। জলবায়ু পরিবর্তনে কয়লার অবদান সবচেয়ে বেশি। তারপরও অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো সবচেয়ে বড় কিছু কয়লানির্ভর দেশ এ প্রতিশ্রæতিতে স্বাক্ষর করেনি বলে জানায় বিবিসি।
এই সমঝোতায় স্বাক্ষরকারীরা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সব ধরনের বিনিয়োগ বন্ধে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ হয়েছে। যুক্তরাজ্য জানায়, তারা বড় অর্থনীতির দেশগুলোর ক্ষেত্রে ২০৩০ এর দশকের মধ্যে এবং দরিদ্র দেশগুলোর ক্ষেত্রে ২০৪০ এর দশকের মধ্যে জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ হতে সম্মত হয়েছে। দেশটির বাণিজ্য ও জ্বালানিমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেং বলেন, কয়লার শেষ যুগ দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। বিশ্ব সঠিক দিকে যাচ্ছে। কয়লার ভাগ্য ‘সিল’ করে দিতে আর দূষণমুক্ত শক্তিচালিত একটি ভবিষ্যৎ নির্মাণে পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক সুবিধাকে বরণ করতে প্রস্তুত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য জানায়, ৪০টির বেশি দেশ এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে। পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চিলিসহ ১৮টি দেশ ধাপে ধাপে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে এবং নতুন কোনো কয়লাভিত্তিক প্রকল্প তৈরি বা বিনিয়োগ না করতে প্রথমবারের মতো সম্মত হয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ছায়া বাণিজ্যমন্ত্রী বিরোধী লেবার দলীয় এমপি এড মিলিব্যান্ড বলেন, চীন ও ভারতের মতো অন্যান্য প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো কয়লার ব্যবহার বাড়ানো বন্ধ করার কোনো প্রতিশ্রæতি না দেয়ায় এখানে ‘ভয়ানক একটি ফাঁক’ রয়ে গেছে। তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি ধাপে ধাপে বন্ধ করার কোনো আশ্বাসও সমঝোতায় নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। যুক্তরাজ্য সরকার ‘অন্যদের সমস্যায় পড়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন মিলিব্যান্ড। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের নাটকীয় বৃদ্ধি ঘটলেও বিশ্ব অর্থনীতি এখনো বিদ্যুতের জন্য কয়লার ওপরই নির্ভরশীল। বিপি স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ৩৭ শতাংশ আসে কয়লা থেকে, প্রায় ২৫ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে, ১৬ শতাংশ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে, ১০ শতাংশ পারমাণবিক ও ১২ শতাংশ সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়