গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

কিউইদের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বকাপের গ্রুপ-২ এ পাকিস্তানের পর সেমিফাইনালে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের। তবে সুপার টুয়েলভে বাকি থাকা দুই ম্যাচে ভুল করা যাবে না তাদের। সেমিতে যেতে নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই ব্ল্যাক ক্যাপসদের। এইদিকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এসে ক্রিকেট বিশ্বকে একের পর এক চমক উপহার দিচ্ছে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া। বাছাইপর্বে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসকে হটিয়ে ডেভিড ভিসারা মূলপর্বের প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্কটিশদের বিপক্ষে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ নামিবিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় মাঠে নামবে আসরের অন্যতম হট ফেভারিট নিউজিল্যান্ড।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ-২ এ এরই মধ্যে টানা ৪ ম্যাচ জিতে জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে পাকিস্তান। ৪ ম্যাচের মধ্যে ২ ম্যাচ জিতে সেমির দৌড়ে আছে আফগানিস্তানও। আর ৩ ম্যাচে ২ ম্যাচ জিতে সেমির পথে গ্রুপ-২ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমির পথে সবার চেয়ে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। তাদের পরবর্তী দুই ম্যাচ নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচের যে কোনো একটিতে ভুল করলেই সেমির স্বপ্ন ভঙ্গ হতে পারে কেন উইলিয়ামসনদের। সেক্ষেত্রে দরজা খুলে যেতে পারে ভারতের। আফগানিস্তান নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পেলে তাদের পয়েন্ট হবে ৬।
নিউজিল্যান্ড এক ম্যাচ জিতলে ও এক ম্যাচ হারলে তাদের পয়েন্টও হবে ৬। আর দুই ম্যাচই হারলে আসর থেকেই বিদায়। ভারত নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে স্কটল্যান্ড, নামিবিয়ার বিপক্ষে জয় পেলে ভারতের পয়েন্ট হবে ৬ পয়েন্ট। যদি তিন দলের সমান পয়েন্ট হয়, তাহলে রান রেটে এগিয়ে থাকা দল যাবে সেমিতে। আর দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিলে ব্ল্যাক ক্যাপসের সেমির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না আর কোনো সমীকরণই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়নি নামিবিয়া। আবার দুই দলের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হয়নি কোনো দেখা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে এসেছে নামিবিয়া। ওয়ানডেতে তাদের পদচারণা ২০০৩ সালে হলেও প্রথমবার তারা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২০১৯ সালে ঘানার বিপক্ষে। তবে এই দুই বছরে ভালোই আধিপত্য করে নিয়েছে দেশটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত ২৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে তারা। এর মধ্যে মাত্র ৭ ম্যাচে হারলেও জয়ের দেখা পেয়েছে বাকি ২১ ম্যাচেই। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে তাদের অবস্থান ১৫তম স্থানে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের অর্জনের খাতায় নেই কোনো ট্রফি। টানা গত দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেও ট্রফি না পাওয়ার আক্ষেপ কিউইরা ঘোচাতে চাইবে চলতি টি-টোয়েন্টি আসরেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে আসরের শুরুটা ভালো না হলেও ভারতের মতো হট ফেভারিটকে হারিয়ে এখন তারাই অন্যতম হট ফেভারিট দল। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের বর্তমানে অবস্থান চারে। র‌্যাঙ্কিং পরিসংখ্যান, পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা সব দিক দিয়ে নামিবিয়ার চেয়ে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। তবে স্বল্প বলের খেলায় যে কেউই চমক দেখিয়ে জয় তুলে নিতে পারে। তাই নামিবিয়াকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই সাউদিদের।
এদিকে চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত নামিবিয়া। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছে। অথচ ব্যাটিং, বোলিংয়ে যেন অজ্ঞিতায় পরিপূর্ণ একটি দল। কেনই বা থাকবে না? এই দলে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি গায়ে খেলা অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসা। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নিয়মিত ক্রিকেটার জেন ফ্রাইলিঙ্কও খেলছেন নামিবিয়ার জার্সি গায়ে। আর রুবেন ট্রাম্ফেলম্যান মূলপর্বের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। বিশ্বকাপ যাত্রায় বাছাইপর্বে তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬ এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। সুপার টুয়েলভে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারলেও তারা জয় তুলে নিয়েছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এদিকে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়েও বেশ ভালো অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। ২৫৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান চারে। তবে ক্রিকেটে অঘটনের ঘটনাও কম না। ডেভিড ভিসা, ফ্রাইলিঙ্ক, লফটি-ইটনরা বোলিংয়ে অঘটন ঘটাতে পারেন যে কোনো মুহূর্তে। ফলে নিউজিল্যান্ডের জন্য তারা হতে পারেন অঘটন পটিয়সী কোনো এক প্রতিপক্ষ।
সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে থাকা কিউইদের প্রথম মিশন এখন কোনো ভুল না করেই নামিবিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নেয়া। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও চলতি আসরে ট্রফির দাবিদার কেন উইলিয়ামসনরাও। কারণ বাবর আজমদের সঙ্গে তারা লড়াই করেই হেরেছে। কিন্তু তারা ঠিকই টুর্নামেন্টেটির হট ফেভারিট ভারতকে হারিয়ে নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। পর পর দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে তারা। যদিও ভাগ্য সহায়ক না হওয়ায় ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি। এবার তাদের অন্যতম লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তোলা। অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ নামিবিয়ার মোকাবেলায় তাদের রয়েছে শক্তিশালী বোলিং বিভাগ। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস নিশামের পেস বোলিং অ্যাটাকের সঙ্গে মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোদিদের ঘূর্ণির মিশেলে উড়ে যেতে পারে যে কোনো দলের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপও। বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল তাণ্ডব চালিয়ে একাই নিতে পারেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। তাছাড়া কেন উইলিয়ামসন, ডেরেল মিচেল, নিশাম, ডেভন কনওয়ে, গেøন ফিলিপস, টিম সেইফার্টরা ব্যাটিংয়ে জ¦লে উঠলে ম্যাচ থাকবে তাদের নিয়ন্ত্রণেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়