কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জাতীয় পার্টি নেতা শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়সালকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই কাউন্সিলরের সম্পদ বিবরণী তলব করে দুদক। নোটিস পাওয়ার পর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন সেন্টু। জমা দেয়া সেই সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইয়ের জন্যই নতুন করে গতকাল অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক। এর আগে ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদও করে দুদক।
কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সেন্টুকে তার নিজের, স্ত্রীর এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছিল। তিনি তা জমা দিয়েছেন। এখন তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর এলাকার এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেন্টুর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে সংস্থাটির এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেন্টুর নামে প্রায় শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য মিলেছে। এসব সম্পদ অর্জনের বৈধ উৎস যাচাই-বাছাই করতে আইন অনুযায়ী তার কাছ থেকে হিসাব চাওয়া হয়।
জানা যায়, ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ওই সময় দুই শতাধিক ব্যক্তির তালিকা ধরে এই অনুসন্ধান শুরু হয়। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল এসব অনুসন্ধান করছেন। এ দলের অপর সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।