গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

কর্মকতাদের সিইসি : ইউপি নির্বাচনে সাহসী ভূমিকা পালন করুন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাহসী ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ ভালো না থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোট বন্ধ করা হবে। তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তার গাফিলতি বা পক্ষপাতিত্ব বরদাস্ত করা হবে না। আর প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার প্রার্থিতা বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেন সিইসি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্বিতীয় ধাপে ইউপি ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভায় অনলাইনে অংশ নিয়ে এমন হুঁশিয়ারি দেন সিইসি। ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের পরিচালনায় অনলাইন সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.), সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বিভাগীয় কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
সিইসি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করার কোনো অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেই। এক ঘণ্টাও আমরা বিলম্ব করি না। কোথাও অসুবিধা হলে সমস্যাগুলো আমাদের কাছে আসতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি মনে করে যে, সেই এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ ভালো না। তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার নির্বাচন বন্ধ করে দেব। যদি কোনো প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হয়, তাহলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা আমাদের আছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, জেলা প্রশাসক যারা আছেন, তারা পাশে থেকে সাহস জোগাবেন। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে কেউ যাতে পাড় পেয়ে যেতে না পারে, সেই জন্য ব্যবস্থা নিতে উৎসাহ দিতে হবে। কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে, তারা আইনের আওতায় আসবে এবং এ জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে। তবে কোনো নির্বাচনী কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি তার ডিউটিতে গাফিলতি করে তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ারো হুঁশিয়ার দেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের থেকে এই নির্বাচন আলাদা। এখানে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়।
যে কোনো প্রয়োজনে মাঠ কর্মকর্তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত হয়েছি যে, নির্বাচনী পরিস্থিতি সারাদেশেই ভালো হয়েছে। আটটি বিভাগের মধ্যে ঢাকা আর খুলনায় উত্তেজনা রয়েছে। খুলনা নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। ঢাকার ব্যাপারে আমরা সচেতন থাকব। কোনো কোনো পকেটে এই সমস্যা আছে, এখন থেকে যেন সেগুলো চিহ্নিত করতে পারি, সে ব্যাপারে তৎপর হতে হবে।
মাঠ প্রশাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে অদ্ভুত ধরনের সমন্বয় রয়েছে। এটাই সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যথেষ্ট। আমি আশা করি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, ‘কোথাও যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, কোনো কর্মকর্তা যদি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন, আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তাদের কোনো দল, মত ও ব্যক্তি বিশেষের প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে না। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে ভোটাররা যার যার ভোট দিয়ে চলে যাবেন, এই রকম একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রায় সব দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অর্পিত থাকে। নির্বাচন কমিশনের হাতে প্রায় কিছুই থাকে না। সুতরাং, তারা দায়িত্ব পালনের জন্য যে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা চাইলে আমাদের কাছ থেকে পাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়