গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

আনোয়ারা সৈয়দ হকের ভ্রমণকাহিনী : কাছের হয়ে ওঠা দূর

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা সৈয়দ হক কবি, কথাশিল্পী। কবির মতো বাক্যকে ধ্বনিমাধুর্যে চিত্রকল্পের কারুকাজে সাজিয়ে এবং কথাশিল্পীর মতো অভিজ্ঞতাকে গল্পের গাথুনিতে উপস্থাপন করার ক্ষমতা তার সাফল্যমণ্ডিত।
‘উড়ে যাই দূরে যাই’ আনোয়ারা সৈয়দ হকের ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থ। ভ্রমণসাহিত্যে এই গ্রন্থটি নতুন সংযোজন। দেশকাল সমাজের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তির গভীর দর্শন যে, দার্শনিকতায় এবং মানুষের গতিময় জীবন ও অস্তিত্ব যে স্মৃতি-বিস্মৃতির ভেতরও প্রাণময়- তা তিনি আমাদের ভাবনার জগৎকে নাড়িয়ে দিয়ে যান, আলোড়িত করেন। ভারত সরকারের আমন্ত্রণে কবি, কথাশিল্পী সৈয়দ শামসুল হকের সফরসঙ্গী ছিলেন তিনি। আমন্ত্রণটা এসেছিল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস ফর কালচারাল রিলেশনসের। লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বজায় রাখা।
গ্রন্থের শুরুতেই কেন তিনি মিসর ভ্রমণে যাবার আকাক্সক্ষা অতৃপ্তি রেখে কীভাবে তার স্বামী সৈয়দ হকের সফরসঙ্গী হলেন ভারতের- তা জানান দিতে গিয়ে দুই পৃষ্ঠার ভেতর সে গল্প শুনিয়েছেন যা পাঠককে মুগ্ধ এবং সম্পূর্ণ গ্রন্থ পাঠে উদ্বুদ্ধ করে। লেখকের বর্ণনা,
‘মাস খানেক আগে আমি হঠাৎ করে আমার বাড়িতে ঘোষণা দিলাম যে, মিসর ভ্রমণে যাব। যাব তো যাব, যাবই। …বাধা পেলেই আমার উদ্দমতা বাড়ে, সুতরাং নীল নদ দেখার জন্য ভীষণ প্রতীক্ষায় আপ্লুত হয়ে যখন ডাঙ্গায় ওঠা সাগরের তিমি মাছের মতো লেজ আছড়াচ্ছি তখন হঠাৎ করেই সৈয়দ হক একদিন নাকের ডগায় একটা টোপ ফেলল।
সৈয়দ হক বলল, আরে তুমি তো ঘরের কাছের ভারতই কোনোদিন ভালো করে চোখে দেখনি, নীলনদ দেখার আগে সেটা তো একবার দেখা দরকার, নাকি? দোরগোড়ায় শিশির বিন্দুটি চোখে না দেখে অন্য মহাদেশে ভ্রমণ কি যুক্তিপূর্ণ বলে মনে কর?’
সৈয়দ হকের প্রস্তাবে রাজি হলেন। তবে ভারত ঘুরে দেখার জন্য মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব সময়ে বিশেষ অন্তরায় ছিল এই ঐতিহাসিক সত্যটুকু সম্পর্কে লেখক পরে তুলে ধরেছেন। লেখকের বর্ণনা-
‘ভারত আমার হাতের কাছে থাকলেও কোনোদিন ভারত ভ্রমণ করতে হবে ভাবিনি। তার প্রধান কারণ হয়তো অতি ছেলেবেলা থেকে পাকিস্তান নামের দেশটির তার প্রতিবেশী দেশের প্রতি অবিরত বিষোদগার। …যে কোনো মানুষ ভারত ভ্রমণ করলে তাকে সন্দেহের চোখে দেখা হতো। ব্যাটা, এতবার কোলকাতায় কেন? খুঁজে দেখ তো! এই ছিল মনোভাব’ (পৃ. ১৮-১৯)।
এই ভ্রমণসাহিত্যে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে যা নতুন করে ভাবায়, নতুন জীবন ও দর্শনের সাথে পরিচিত করায়।
১. বিখ্যাত লেখক, শিল্পী ও রাজনীতিবিদদের অজানা বিষয় ও অনালোকিত দিকের প্রসঙ্গিকক্রমে উপস্থাপন।
২. ঐতিহাসিক স্থানগুলোর নন্দনতাত্ত্বিক দিক এবং ঐতিহাসিক বা প্রতœবস্তুর জন্য ঐতিহাসিক স্থানের বর্ণনা।
৩. ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষদের উপস্থিতি।
পঞ্চাশের দশকে আবির্ভূত কবি, কথাশিল্পী সৈয়দ শামসুল হক প্রসঙ্গ এসেছে ভ্রমণ সূত্রে। সৈয়দ হকের সঙ্গী তিনি ভ্রমণের। তার ঘরনিও তিনি। সৈয়দ হকের জীবনের শিল্পের নানা অজানা দিক তিনি খুব কাছে থেকে তুলে ধরেছেন। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে সৈয়দ হক আবিষ্কৃত হয়েছেন আনোয়ারা সৈয়দ হকের কাছে।
ব্যক্তিত্বের প্রকাশ মানুষের নানাভাবে ঘটে। চলায়-ফেলায় আচার-আচরণে। সৈয়দ শামসুল হককে স্বামী হিসেবে ভাবলে আনোয়ার সৈয়দ হকের চাইতে অনেক ওজনদার, খ্যাতি সম্পন্ন মানুষ হিসেবেই বিবেচনা করবেন সবাই। তবে স্বামী ও লেখক সৈয়দ হকের ‘না’- কে কীভাবে সামাল দিয়ে নিজের ইচ্ছে ও আগ্রহ এবং রুচি প্রাধান্য পায় এবং ব্যক্তিত্ব নিজের বজায় থাকে তার প্রতিফলন আমরা ভ্রমণের একাধিক অংশে প্রত্যক্ষ করি। একটি উদাহরণ এখানে তুলে ধরছি। রাস্তায় পাপড় ভাজা কিনে খাবারের ক্ষেত্রে সৈয়দ হকের আপত্তিকে কথার প্যাঁচে ফেলে দিয়ে কীভাবে পাপড় ভাজা কিনলেন এবং খেলেন তা লক্ষ্য করার মতো বিষয় এবং তার ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। সৈয়দ হককে কথার প্যাঁচের মধ্যে ফেলে রসিকতাকে সামনে এনে এমনভাবে পাপড় ভাজা কিনলেন এবং খেলেন যে, সৈয়দ হকের আপত্তি টিকেনি। লেখকের বর্ণনা-
আমার মা বলতেন, আমি লোহা খাই নে শক্ত বলে আর গোবর খাইনে গন্ধ বলে, তাছাড়া আর সব নাকি খাই এবং হজম করি। খাই’ (পৃ. ৫০)।
ইতিহাসের ভেতর ডুব দিয়ে দেশভাগের ভাবনা ও জিজ্ঞাসার প্রতিফলন আমরা ভারতীয় বিখ্যাত নেতৃবৃন্দের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আনোয়ারা সৈয়দ হকের নতুন উপলব্ধি থেকে আমরাও নতুন করে ভাবনায় ডুবে যাই। ইতিহাস থেকে যে নতুন পাঠ আমাদের জাড়িত করে তা থেকে সত্য উপলব্ধির স্বাদ পেতে ইতিহাসের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। রাজঘাটে গান্ধীজির সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সৈয়দ হকসহ আনোয়ারা সৈয়দ হক গিয়েছিলেন। বেদির সামনে দাঁড়িয়ে মোনাজাত করেছেন। খানিকক্ষণের জন্য ইতিহাসের ভেতর ডুব দিয়ে দেশভাগের অস্বাভাবিক ঘটনাকে সামনে এনেছেন। দেশভাগের ব্যর্থতার দায় গান্ধীজিরও যে বহন করতে হচ্ছে, সে ভাবনারি প্রতিফলন ঘটিয়েছেন লেখক। লেখকের বর্ণনা-
‘… সমাধিস্থল ছেড়ে নিঃশব্দে বেরিয়ে আসার সময় ভাবলাম, আসলেই মহাত্মা গান্ধী ভারতের রাজনৈতিক অঙ্কনে কী চেয়েছিলেন? তিনি কি ভারতবর্ষকে তিন টুকরো দেখতে চেয়েছিলেন? যদি তা না চেয়ে থাকেন, তাহলে এভাবে ভারত ভাগ করতে রাজি হলেন কেন? আর যদি পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ও মোহাম্মদ আলি জিন্নার চাপাচাপি ও ঠেসাঠেসিতে রাজি হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি মহাত্মা গান্ধী হলেন কেন? তার হাতে তো আমরণ অনশন ছিলই। না হয়, ভারতের হিন্দু মুসলমানকে ভ্রান্ত পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে তিনি মৃত্যুবরণ করতেনই, অনন্ত তার তরফ থেকে তো স্থায়ী এক প্রতিবাদ হয়ে থাকত। সেই তো ভারত বিভাগের কিছুদিন পরে তাকে অপঘাতে মৃত্যুবরণ করতেই হলো’ (পৃ. ২৩-২৪)।
দিল্লি বিমানবন্দর থেকে অশোক গ্রুপের হোটেল কনিস্কে পৌঁছে হোটেল লাউঞ্জে অপেক্ষার সময় আনোয়ারা সৈয়দ হক মাথার ওপর যে শিল্পশৈলী দেখে অভিভূত হয়েছিল- সে কাজটি শিল্পী মকবুল ফিদার হুসেনের। লেখকের বর্ণনা-
‘সোফার পিঠে মাথা দিয়ে ওপরের দিকে অন্যমনস্কভাবে তাকালাম। উরে বাপস্্, কী কাণ্ড, আমার মাথা ঘুরে গেল। চোখে ধাঁধা লেগে গেল যেন। চোখের সামনে এ কী দেখছি? ছাদের মাথায় কী অপূর্ব কারুকাজ। ভালো করে তাকাতেই, আরে, কারুকাজ কী, এটা তো কোনো শিল্পীর আঁকা ব্লক পেইনটিং, একেই কি ফ্রেসকো পেইনটিং বলে? এই কি তাহলে সৈয়দ হকের মুখে শোনা শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের কাজ? ছাদের মাথার ওপরে ছোট ছোট আলোর বাল্ব জ্বলছে আর সেখানে যেন স্রোতের মতো থির থির করে কাঁপতে কাঁপতে বয়ে যাচ্ছে সমগ্র ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের কারুকার্যময় শৈল্পিক উপস্থাপন’ (পৃ. ১৯-২০)।
জওহরলাল নেহরুর ‘শান্তিবন’ সমাধিস্থললেও গিয়েছিলেন লেখক। দেশভাগের জন্য গান্ধীজিকে একধরনের দায়ের ভিতর আবার নেহরুকে অন্য ধরনের দায়ের ভিতর থেকে লেখক প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এবং নিজের ভাবনাকেই নেহরুর বিগত দিনের কর্মকাণ্ডের সামনে তুলে ধরেছেন-
‘…পণ্ডিতজী, বিশাল ভারতবর্ষের পরবর্তী প্রজন্মের কথা এবং তারও পরের প্রজন্মের কথা আপনি ও মিস্টার জিন্নাহ কদাপি চিন্তা করেছিলেন কি? না হয়, মিস্টার জিন্না ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতেনই, তাতে কতিপয় রাজনীতিবিদের ছাড়া আর কার কী এসে যেত? আপনাদের মতো বিরল ও মহান ব্যক্তিত্বের কাছে আমাদের আশা যে আরো অনেক, অনেক বেশি ছিল। আপনার ‘আত্মচরিত’, ‘ভারত সন্ধানে’ ও ‘বিশ্ব ইতিহাস প্রসঙ্গ’ আমার মনে এই ধারণা দিয়েছে যে ইচ্ছে করলে আপনি এই ভারতবর্ষ অখণ্ড রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে পারতেন। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে আপনার মন ও মানসিকতা শুধু তৎকালীন রাজনীতির আবর্তে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। আপনার প্রজ্ঞা ও মেধা যুগ পেরিয়ে বহুদূরে বিস্তৃত হয়েছিল। তারপরও কেন এই ভুল হলো? আপনার সেক্যুলার ভারত কি তার সেক্যুলারিটি বজায় রাখতে পারল’ (পৃ. ২৪)?
দেশের অভ্যন্তরে চলাফেরা আর দেশের বাইরে চলাফেরার সময় খাবারের এমনকি টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও যে কিছু না কিছু সমস্যা এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তারও কিছু কিছু অভিজ্ঞতা প্রাণবন্ত করে বর্ণনা করেছেন লেখক। যেমন টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে টয়লেট ব্যবহারে ছোট বাইরে বড় বাইরে বিষয়টি খুবই হাস্যকর অথচ বাস্তবতাকে নিয়েই নারীরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। কলকাতাতেও এরকমটি দেখেছেন লেখক। অকপটে বলার মধ্যেও যে শিখিত বর্ণনা হতে পারে তারও উদাহরণ হতে পারে।
লেখকের বর্ণনায়-
‘লোকটি গম্ভীর গলায় বলল, ছোট বাইরে দুপয়সা। আর বড় বাইরে চার পয়সা। এখানকার মেয়েরা প্রস্রাব করতে গেলে পানি একেবারে ব্যবহার করে না। আমি এখানকার মেয়েদের দোষ দিই নে। বিলেতের কী অবস্থা? সেখানেও তো কী প্রস্রাব, কী পায়খানা কোথাও পানির নাম নিশানা নেই। আছে খালি শুকনো কতকগুলো খড়খড়ে টয়লেট পেপার।’
আমাদের মতো মানুষের দুর্গতির একশেষ। প্রস্রাব করার জন্য দুপয়সা দিয়ে তিনি ছোট বাইরে গিয়ে বিপদেই পড়েছিলেন। কারণ প্রস্রাবখানায় পানির ব্যবস্থা ছিল না। ওখানকার মেয়েরা এভাবেই অভ্যস্ত।
দর্শনীয় স্থান দেখা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন শেষে বর্ণনা করার মধ্যে স্থাপত্য নিদর্শন এবং স্থান উল্লেখ করার মতো হচ্ছে ‘বিড়লার মন্দির’ ও ‘দিল্লির ঐতিহাসিক জামে মসজিদ’। স্থাপত্যশৈলীর চাইতে দুটির পরিবেশ এবং হিন্দু ও মুসলমানের ব্যবসায়িক মানসিকতার দিক উঠে এসেছে। বিড়লা মন্দিরের আশপাশ যে অর্থে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সে অর্থে নয় দিল্লির জামে মসজিদ। ব্যবসায়িক দিক থেকে মসজিদের গলির দুধারে সারি সারি যেভাবে জিনিস বিক্রির দোকান সে রকম দোকান নেই মন্দিরে। অথচ সৌন্দর্য দেখার জন্যই পরিদর্শনে যাওয়া। লেখকের তিক্ত অভিজ্ঞতা এভাবে ফুটে উঠেছে-
‘মসজিদের কারুকাজ বা গঠন শৈলী এখনো মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখার মতো। কিন্তু সেসব দেখার সময় কোথায়। জান নিয়ে পালাতে পারলে বাঁচি’।
এটি বলার কারণ, মসজিদের আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন নয়, পুরো জায়গায় মাছি আবর্জনা যা লেখককে মানসিকভাবে কষ্ট দিয়েছে।
দর্শনীয় স্থান দেখা এবং দেখার পর হোটেলে ফেরার জন্য গাড়ির অপেক্ষায় থাকার সময়টুকুতে লেখক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর যে জীবনকে দেখেছেন তার ভেতর ধূর্ততার এবং বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে নিম্ন রুচির মানসিকতাকে আবিষ্কার করেছেন লেখক।
আন্দামানে সেলুলার জেলের অভিমতা যে কোনো পাঠককে মোহিত করবেন, রোমাঞ্চিত করবে এবং বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানতে গিয়ে মফিদুল হকের অনুরোধে সেখানকার স্মৃতি বয়ে আনার জন্যে ইট চুরি এসবও অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়। লেখকের অন্তরঙ্গ ভাষ্য-
‘যে উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি অর্থাৎ বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, তাদের পদধূলি সংগ্রহ করতে এবং মফিদুলের অনুরোধে ইট সংগ্রহ করতে সেটাই তো এখন পর্যন্ত সারা হয়নি। বর্তমানে এটাই আমার জীবনের এক নম্বর মিশন। দেখি কতদূর কী হয়। একটা ইট তো চুরি করেছি। আরেকটা কীভাবে করা যায় দেখতে হবে। আবার আগামীকাল সকাল ন’টায় যেতে হবে সেলুলার জেলে’।
আনোয়ারা সৈয়দ হকে এই ভ্রমণসাহিত্যে স্থানের সীমা ভেদ করে মানুষের দেশ-কালের নৈকট্যের যে প্রতিফলন তাকে আমাদের ভ্রমণসাহিত্যে এক নতুন সংযোজন বলা চলে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়