গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

অন্তঃস্রোত

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরিফ রাখার ঘটনায় যখন সারাদেশ তোলপাড়, ঠিক সেই সময় ফেসবুকসহ গণমাধ্যমে অন্য একটি ছবি ভাইরাল হলো। মুসলিম বন্ধুর জানাজায় এসে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী দুই বন্ধু পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। দুটি ঘটনা বিপরীতধর্মী হলেও দুটির তাৎপর্য কোথায় যেন সম্পর্কযুক্ত। এ সম্পর্ক নির্ণয়ের আগে তিন বন্ধু সম্পর্কে একটু ধারণা দেয়া দরকার।
তিন ধর্মাবলম্বী তিনজন মানুষ কুমিল্লা জেলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিজামউদ্দিন ফারুকী, হারানচন্দ্র চক্রবর্তী ও বীরকুমার সিংহ। তিনজনই প্রধানত ধর্মীয় শিক্ষার ক্লাস নিয়ে থাকেন। নিজামউদ্দিন ফারুকী বিদ্যালয়ে ইসলাম, হারানচন্দ্র চক্রবর্তী হিন্দু আর বীরকুমার সিংহ বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষা পড়ান। তবে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি তিনজনই বিভিন্ন শ্রেণিতে অন্যান্য বিষয়েও পাঠদান করে থাকেন।
ধর্ম আলাদা হলেও পেশা যেন এক করে দিয়েছে তিনজনকে। অবশ্য নিজামউদ্দিন ও হারানচন্দ্র বাল্যবন্ধু। দুজনই স্থানীয়, একই এলাকায় জন্ম। বীরকুমারের বাড়ি পার্শ্ববর্তী উপজেলার বরুরা গ্রামে। ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছেন তিনি। হারানচন্দ্রও গ্র্যাজুয়েট। নিজামউদ্দিন ফারুকী পড়াশোনা করেছেন মাদ্রাসায়, ফাজিল পাস। তবে তার দৃষ্টিভঙ্গি উদার-নৈতিক, মুক্তমনের মানুষ তিনি। ধর্মীয় গোঁড়ামি তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। মানুষ পরিচয়ই তার কাছে বড়।
সুতরাং ধর্ম ও সংস্কার এই তিনজন মানুষের মনের নৈকট্যে বাধা হয়ে দাঁড়ানি। সুখে দুঃখে, বিপদে আপদে তিনজন থাকেন পরস্পরের পাশে। দুর্দিনে যেমন, উৎসব পার্বণের উদ্যোগ আয়োজনেও পরস্পরের থাকে উদার আমন্ত্রণ। ঈদের দিনে নিজামউদ্দিনের বাড়িতে হারানচন্দ্র আর বীরকুমারের পারিবারিক উপস্থিতি অনিবার্য ঘটনা। তেমনি দুর্গাপূজা কালীপূজায়ও নিজামউদ্দিন আর বীরকুমারকে পরিবার নিয়ে দু’একবার যেতে হয় হারানচন্দ্রের বাড়িতে। আবার বুদ্ধ পূর্ণিমা, প্রবারণা উৎসবেও বীরকুমারের বাড়িতে সপরিবার হাজিরা দিতে হয় নিজামউদ্দিন আর হারানচন্দ্রকে। খাওয়া-দাওয়া গল্প হাসি আনন্দ আড্ডা চলে প্রাণখোলা। প্রতি উৎসব পার্বণে যেন তিন বন্ধুর বাড়িতে বসে প্রাণের মিলন মেলা। তিন পরিবারের লোকজনই যেন সারা বছর এমন উপলক্ষের অপেক্ষায় থাকে।
স্কুলের বাইরেও তিন বন্ধুর একটি সাংগঠনিক যোগাযোগ আছে। নিজামউদ্দিন আর হারানচন্দ্র অল্প বয়সেই এলাকায় একটি সমবায় সমিতি গড়ে তুলেছিলেন। নাম অগ্রণী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড। এর মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের অনাবাদি জমি চাষের ব্যবস্থা করা হয়। বীরকুমার কুমিল্লা স্কুলে শিক্ষকতায় যোগ দেয়ার পর এই দুই বন্ধুর সখ্য দেখে মুগ্ধ হন। তাদের আন্তবিকতায় কখন যেন নিজেও জড়িয়ে পড়েন সমবায় সমিতির সঙ্গে। এই এলাকাকে নিজের এলাকাই মনে করতে শুরু করেন তিনি। এলাকার মানুষের সুখ-সুবিধা, ভালো-মন্দ, আয় উন্নতি তারও ধ্যান-জ্ঞান হয়ে পড়ে। অবসরে বা ছুটির দিনে স্থানীয় দুই সহকর্মীর সঙ্গে তিনিও সাংগঠনিক কাজে ঘুরে বেড়ান এলাকায়। ঘুরতে ঘুরতে তিনিও কখন সহকর্মী থেকে তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছেন বুঝতে পারেননি। সমিতির কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে বীরকুমারকেও তারা সহসভাপতি পদে বরণ করে নিলেন। আর নিজামউদ্দিন হলেন সভাপতি ও হারানচন্দ্র হলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক। সারাদিনই প্রায় একসঙ্গে কাটে তিন বন্ধুর।
জ্ঞানে গুণে মানে ব্যক্তিত্বে তিন বন্ধুই এলাকায় সুপরিচিত। সবাই বলে ‘ত্রিরতœ’, ছোট বড় সবাই মান্য করে তাদের। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবখানে তাদের গ্রহণযোগ্যতা। তাই ক’বছর ধরে হারানচন্দ্র চক্রবর্তী তার সঙ্গে নিজামউদ্দিন ফারুকী আর বীরকুমার সিংহকেও রাখেন এলাকার দুর্গাপূজা উদ্যাপন কমিটিতে। এ বছরও যথারীতি কমিটিতে আছেন তারা। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯-এর জন্য গত বছর দুর্গাপূজা উৎসব উদ্যাপন করা যায়নি। এ বছর মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বেশ স্বস্তিদায়ক। দেশের উন্নয়নেও অগ্রগতির ছোঁয়া। চারদিকে শান্ত পরিবেশ। দুর্গাপূজা উৎসব পালনে এবার মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা। গত বছর দুর্গাপূজা করতে না পারার অতৃপ্তি যেন মানুষ এবার পুষিয়ে নিতে চায়। দুর্গাপূজা চলছে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে।
পূজার অষ্টমীর দিন। ভোরবেলা। হঠাৎ শোরগোল পড়ে গেল মণ্ডপে। এ কাজ কী করে হলো! পূজামণ্ডপে প্রতিমার পাটাতনে কুরআন শরিফ এলো কোত্থেকে? থানার ওসি সাহেব তা উদ্ধার করেছেন। এ কী অলুক্ষণে কথা! এ যে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা! এমন অবিশ্বাস্য ‘সত্য কথা’ গোপন থাকে আর কতক্ষণ? মুহূর্তেই চাউর হয়ে গেল শহরময়। সূর্যের ঘুম ভাঙার আগেই আজ ঘুম ভেঙে গেল শহরের মানুষের। দিকে দিকে উত্তেজনা। জন থেকে জমায়েত। উত্তেজিত জনতার তীব্র রোষ গিয়ে পড়ল পূজামণ্ডপের ওপর। মারমুখী জনতাকে আর রোখে কে? চোখের পলকেই ছবির মতো সাজানো মণ্ডপ হলো লণ্ডভণ্ড। অল্পক্ষণের মধ্যে ফেসবুক আর গণমাধ্যমের মুখরোচক আইটেম হয়ে গেল এ ঘটনা।
পূজা উদযাপন কমিটির অনেক সদস্যই তখনো ঘুমিয়ে। পূজামণ্ডপের অবস্থা পরিদর্শনে সবাই পৌঁছতে পারেননি তখনো। এমন সময় ছড়িয়ে পড়ল আরেকটি বড় দুঃসংবাদ। মণ্ডপে হামলার পরপরই পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য নিজামউদ্দিন ফারুকীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
হারানচন্দ্র চক্রবর্তী আর বীরকুমার সিংহের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। হায় হায়! বিপদের পর বিপদ। ভর সকালেও চোখে মুখে অন্ধকার দেখতে লাগলেন দুজন। সামলে ওঠার আগেই চূড়ান্ত দুঃসংবাদটাও পেলেন তারা। হাসপাতালের ডাক্তার নিজামউদ্দিন ফারুকীকে মৃত ঘোষণা করেছেন। খবরটা শুনে এবার একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন দুবন্ধু। কেন এমন হলো? নিজামউদ্দিনের তো হার্টের কোনো সমস্যা ছিল না। বয়সও বা এমনকি! মাত্র ষাট বছর। কী থেকে হঠাৎ কী হয়ে গেল।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় দুবন্ধু। কী করা উচিত ভেবে না পেয়ে পূজামণ্ডপের ধ্বংসস্তূপে বসে রইলেন চুপচাপ। এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের লোকজন আসা শুরু করেছে দলে দলে। আসছে পুলিশ র‌্যাবের লোকজন। যাকে পাচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দফায় দফায়। হাজারো কথা, হাজারো প্রশ্ন। সবই কেমন খাপছাড়া, অসংলগ্ন। কিছুর সঙ্গে কিছু মেলানো যায় না। ভাবতে গেলে যুক্তি-বুদ্ধি লোপ পেয়ে যায়।
দুপুর গড়িয়ে গেল। হারানচন্দ্র আর বীরকুমার খানিকটা সামলে উঠে এবার বন্ধু নিজামউদ্দিনের বাড়ি ছুটলেন। পাশের সমজিদে তখন নিজামউদ্দিনের জানাজার আয়োজন চলছে। শ্বেত কাফনে মোড়া শবদেহ। এক ফাঁকে শেষবারের মতো নিজামউদ্দিনের মুখ দেখার সুযোগ হলো দু’বন্ধুর। নিজেদের আর ধরে রাখতে পারলেন না তারা। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন দু’জন।
এদিকে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কুরআন পাওয়ার ঘটনায় সারাদেশ থমথমে। ফেসবুক গণমাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুরের পর পূজামণ্ডপে হামলা হয়েছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাজশাহীতে। জানমালের ক্ষয়ক্ষতির খবরও আসছে। উত্তেজিত জনতার সামনে প্রশাসনের প্রতিরোধ যেন বালির বাঁধ। তার ওপর কুমিল্লার ঘটনারও কোনো সুরাহা নেই। হোতা চিহ্নিত হলেও রয়েছে নাগালের বাইরে, পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি।
দিনের পর দিন যায়। কিন্তু উত্তেজনা প্রশমনের নাম নেই। বিজয়া দশমীর দিনে বিসর্জনের সময় দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা চলে জায়গায় জায়গায়। বিজয়ার পরের দিন রংপুরের পীরগঞ্জে লুটপাট করে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় হিন্দু জনপদ। এসব দেখে শুনে অসহায় আর্তনাদে দগ্ধ হতে থাকেন হারানচন্দ্র চক্রবর্তী আর বীরকুমার সিংহ। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় নীরবে।
এরই মাঝে জানা যায়, কুমিল্লার ঘটনার হোতা সন্দেহে কক্সবাজারে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে। তার নাম ইকবাল হোসেন। কিন্তু পুলিশ তাকে ভূষিত করেছে ‘ভবঘুরে’ আর ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বিশেষণে। হারানচন্দ্র আর বীরকুমার দুজনেরই হাসি পায়। এ যেন কানা ছেলের পদ্মলোচন নাম রাখা! এর উদ্দেশ্য কী? অপরাধের দায় লঘু করার চেষ্টা? অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি সত্যি ভবঘুরে আর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে থাকে, তবে ঘটনার মূল পরিকল্পনা তার নয়। এর পেছনে নিশ্চয়ই আরো বড় শক্তি আছে! তাহলে মূল হোতাকে কি আড়ালে রাখতে চায় কেউ? মূল অপরাধী কি অধরা থেকে যাবে? না, এ হতে পারে না। সচেতন জনগণ সোচ্চার হতে থাকে। পরদিন বিকেল তিনটায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আহ্বান করা হলো প্রতিবাদ সভা।
হারানচন্দ্র চক্রবর্তী আর বীরকুমার সিংহ মনে মনে কিছুটা স্বস্তি পেলেন। এখনো তাহলে কিছু মানুষ সজাগ আছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, যারা বারবার শান্তি সৌহার্দ্য সম্প্রীতি বিনষ্ট করে, অন্যের ধর্ম পালনে ব্যাঘাত ঘটিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তেই হবে। কেন পুলিশ প্রহরায় দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ধর্ম পালন করতে হবে? মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল যখন ক্ষমতায়, তখন কেন এমন হবে? এসব প্রশ্নবাণে দংশিত হতে হতে অস্থির হয়ে ওঠেন দুই বন্ধু।
পরদিন বিকেল তিনটায় দু’জন হাজির হন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সভায়। বিবেকের তাড়নায় সংহতি জানাতে চান তারাও। প্রতিবাদ সভা চলছে। শান্ত সংযত পরিবেশ। বক্তারা একে একে তুলে ধরছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিককালের অন্যায় অত্যাচার নিপীড়নের করুণ চিত্র। কেউ কেউ এর বিচার ও প্রতিকারের দাবি তুলছেন। শুনতে শুনতে বিমর্ষ বিমূঢ় দুই বৃদ্ধ।
হঠাৎ সভার পেছনের অংশে চিৎকার চেঁচামেচি। পটকা বোমা ফাটার শব্দ। মানুষের হুড়াহুড়ি ছোটাছুটির মধ্যে উদ্ধত লাঠিসোটা। সভায় হামলা শুরু করেছে একদল লোক। হামলা তো নয় যেন টর্নেডো। মুহূর্তেই ছত্রখান সমাবেশ। মারমুখী হামলাকারীরা এবার এগিয়ে আসছে মঞ্চের দিকে।
হারানচন্দ্র চক্রবর্তী আর বীরকুমার সিংহ মঞ্চ থেকে নেমে দাঁড়ালেন নিরাপদ দূরত্বে। কিন্তু দু’জনের চোখে অপার বিস্ময়, এ কী দেখছেন তারা! হামলাকারীদের নেতৃত্বে আছে নিজামউদ্দিন ফারুকীর বড় ছেলে হিশামউদ্দিন। এও কি সম্ভব? ভুল হচ্ছে না তো? দু’জন বারবার পরখ করতে থাকেন ভালো করে। না, কোনো ভুল নেই। চেহারা স্বাস্থ্যে দেখতে ছেলেটি একেবারে তরুণ বয়সের নিজামউদ্দিনের মতো। হাঁটা চলায় অবিকল বাপের ভঙ্গি, তবে হায়, স্বভাবটাই কেবল বাপের মতো হলো না!
নিজামউদ্দিনের মুখে দুই বন্ধু শুনেছিলেন, বড় ছেলে হিশামউদ্দিন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। তাতে বন্ধুদ্বয় ছেলেটির ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন শঙ্কিত হননি। কারণ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেও অনেকে মানবিক গুণসম্পন্ন মুক্তমনের মানুষ হয়। নিজামউদ্দিন ফারুকীই তার উজ্জ্বল উদাহরণ। কিন্তু এমন গাছের এমন ফল! বিশ্বাস করতে সত্যি কষ্ট হয় বন্ধুদের। নিজামউদ্দিন কি ছেলের এমন জঙ্গি হয়ে ওঠার কথা জানতেন? হিশামউদ্দিন কতদিন ধরে এসব জঙ্গিপনায় জড়িয়েছে? পূজামণ্ডপের কুরআন কাণ্ডের পেছনে ওর কি কোনো ইন্ধন আছে? তা না হলে ঘটনার পরপরই কেন পিতা নিজামউদ্দিনের হার্ট অ্যাটাক হলো?
বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে দুলতে দুলতে এমন হাজারো প্রশ্নের সাগরে তলিয়ে যেতে থাকেন নিজামউদ্দিন ফারুকীর দীর্ঘকালের ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু হারানচন্দ্র চক্রবর্তী আর বীরকুমার সিংহ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়