১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্যের ১৭ নথি গায়েবে রাঘববোয়ালদের নাম! মন্ত্রণালয় ও সিআইডির কাজ নিয়ে প্রশ্ন, রাজশাহীতে আটক সেই ঠিকাদার মুক্ত

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনার কূলকিনারা হয়নি। তদন্তে নথিকাণ্ডে অনেক রাঘববোয়ালের নাম উঠে এসেছে। ছায়া তদন্তের নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) স্বাস্থ্যের ৯ কর্মচারীকে কিভাবে জিম্মায় নিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে এর আইনি এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেইসঙ্গে মন্ত্রণালয় কেন এ ঘটনায় মামলা দায়ের করছে না? এ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। মন্ত্রণালয় জিডি ও তদন্ত কমিটি করে দায় এড়ানোর চেষ্টায় রহস্যের ডালপালা ছড়িয়েছে। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ৬ কর্মচারীকে চারদিন এবং ৩ কর্মচারীকে দুইদিন ধরে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি। অবশ্য ঠিকাদার নাসিমুল ইসলাম টোটনকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় এনে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তদন্তে রাঘববোয়ালদের নাম জড়িয়ে পড়ায় প্রাপ্ত তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। তবে, স্বজনরা প্রশ্ন তুলেছেন ওই ৯ কর্মচারীর কাছে কি এমন তথ্য মিলেছে যে আইনি বৈধতা ছাড়াই এতদিন সিআইডি জিম্মায় রেখেছে?
এ প্রসঙ্গে সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান গতকাল বুধবার রাতে জানান, ৯ কর্মচারীকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।
এদিকে, ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও নথি গায়েব রহস্যের জট খোলেনি। কূলকিনারা হয়নি তদন্তের। সুরক্ষিত এলাকা থেকে কারা কিভাবে নথি সরিয়েছে এ প্রশ্নের জবাব মিলছে না। আলমারির আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে কর্মচারীদের আঙ্গুলের ছাপ মেলানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ কথা বলছেন না।
সূত্রমতে, মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী জোসেফ সরদার, আয়শা সিদ্দিকা, বাদল, বারী, মিন্টু, ফয়সাল, অহিদ খান, সেলিম ও হাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত সহায়ক তথ্য মিলেছে। প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে ক্লু খুঁজে নথি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। তবে তদন্তকাজ গুটিতে আনতে না পারায় জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে অহিদ খান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একজন

অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। নথিকাণ্ডে মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী ছাড়াও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারের নাম জড়িয়ে পড়েছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের আবার রাজনৈতিক পরিচিতি রয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সিআইডি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি নথি খোয়া যায়। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো খোয়া যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল। ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যায়। গত রবিবার সিআইডি ও শাহবাগ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা ১১ জনের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে যাচাইবাছাই করছে। নথি চুরির ঘটনায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) শাহ্ আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তারাও মুখে কুলুপ এঁটেছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়