১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : জেলহত্যার রায় কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জেলখানা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। কিন্তু কীভাবে আইন ভেঙে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। যারা পলাতক আসামি আমরা তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছি। যখন আসামিদের নিজেদের আওতায় আনতে পারব তখনই ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেলহত্যার রায় কার্যকরের জন্যও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
গতকাল বুধবার সকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে অবস্থিত জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। সকালে জেলখানায় প্রবেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ ও মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে দুটি ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যার মধ্যে একটি ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, অন্যটি ৩ নভেম্বর জেলহত্যা। এগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীরই বিচার হয়েছে। যারা বাকি আছে তাদেরও হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭৭ সালের সেনা বিদ্রোহের বিষয়ে বলেন, জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের নামে শত শত লোককে হত্যা করেছে, সেটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। এই বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন রয়েছে। আমরা রিট আবেদনের রায়ের অপেক্ষা করছি। আমরা চাই দোষীদের যেন বিচার হয়। এদিকে, মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। জাতীয় চার নেতাকে আড়ালে রেখে কোনোদিনও সোনার বাংলা গড়া যাবে না বলে তারা মন্তব্য করেছেন। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেন, চার নেতার পরিবার চায় জাতীয়ভাবে যেন তাদের জীবনী নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয়। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে তাদের জীবনী তুলে ধরা হলে নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হতো। তাহলে ভবিষ্যৎ একটি সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমরা নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে পারব। ৩ নভেম্বর শোকাহত দিনে এটাই আমাদের চাওয়া, আমাদের তো আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমরা বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ চাই।

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং জেলহত্যাকারীদের প্রায় সবাই একই মানুষ। আমাদের এখন দাবি, বিশ্বের সব দেশে যেমন একটা বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা থাকে। পাশাপাশি একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়। জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। যেখানে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, ঢাকার সেই পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়