১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

আফগানদের হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল ভারত

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬৬ রানে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলেন বিরাট কোহলিরা। ভারতের ২১০ রানের জবাবে খেলতে নেমে গতকাল ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। ৫ নভেম্বর ভারত স্কটল্যান্ড এবং ৮ নভেম্বর নামিবিয়ার বিপক্ষে খেলবে। এ দুই ম্যাচে জিতলেও সেমিফাইনালে যেতে হলে নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারতকে। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি জিতে সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রেখেছে কিউইরা। ৫ নভেম্বর নামিবিয়া এবং ৭ নভেম্বর আফগানিস্তানের মোকাবিলা করবে নিউজিল্যান্ড। আফগানরা যদি কিউইদের হারিয়ে দিতে পারে, তাহলে গ্রুপ-২ এ ভারত, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৬ হবে। সেক্ষেত্রে রান রেটে যারা এগিয়ে থাকবে, তারা সেমিফাইনালে খেলবে। পাকিস্তান টানা চার ম্যাচ জিতে সবার আগে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে। গতকাল ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি আফগানরা। ২১১ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ১৩ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি হারায় আফগানিস্তান। ভারতকে প্রথমে ব্রেকথ্রু এনে দেন পেসার মোহাম্মদ শামি। তিনি আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরত পাঠান। আর ১৩ রান করা হযরতউল্লাহ জাজাইকে আউট করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেননি নবী-রশিদরা। গতকাল আফগানদের যে ৭টি উইকেটের পতন ঘটে, তার মধ্যে মোহাম্মদ শামি ৩২ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট। রবিচন্দ্রন অশি^ন ১৪ রানের বিনিময় ২ উইকেট লাভ করেন। বুমরাহ ও জাদেজা উভয়ে একটি করে উইকেট পান। আফগান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর ৩২ বলে ৩৫ এবং করিম জানাতের ২২ বলে ৪২ রান ছিল উল্লেখ করার মতো। অন্য ব্যাটসম্যানরা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে সবাই হট ফেভারিটের তালিকায় রেখেছিলেন ভারতকে। কিন্তু পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে আসরে তাদের আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। পাকিস্তানের সেমিফাইনাল নিশ্চিত, তবে ব্ল্যাক ক্যাপসদের ভুল ভারতের জন্য সেমির দুয়ার খুলে দিতে পারে। এমন সমীকরণে আবুধাবিতে গতকাল টসে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। তবে এদিন আর কোনো ভুল নয়। ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে রাহুল-রোহিতের উদ্বোধনী ১৪০ রানের জুটিতে চলতি আসরে সবচেয়ে বড় সংগ্রহ পায় ভারত। নির্ধারিত ওভার শেষে ভারত ২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। পন্ত ১৩ বলে ২৭ এবং পান্ডিয়া ১৩ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। আফগান বোলারদের মধ্যে গুলবাদিন নাইব ও করিম জানাত ১টি করে উইকেট নেন। ৪৭ বলে ৭৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরা পুরস্কার জিতে নেন রোহিত শর্মা। তার ইনিংসে ৮টি চার এবং ৩টি দর্শনীয় ছক্কার মার ছিল।
এর আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। ব্যাট হাতে নেমেই তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই ওপেনার রোহিত শার্মা ও লোকেশ রাহুল। দুজনের ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৩ রান। এরপর আরো মারমুখী হয়ে ওঠেন রাহুল-রোহিত। চার আর ছয়ের মারে দিশেহারা করতে থাকেন আফগান বোলারদের। ১০ ওভার শেষেও সাফল্যের দেখা পান না রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা। বিনা উইকেটে তখন ভারতের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৮৫ রানে।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কার মারে ফিফটি তুলে নেন রোহিত। ফিফটি হাঁকাতে ভুল করেননি রাহুলও। তিনি ৩৫ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কার মারে ফিফটি তুলে নেন। ফলে ১১.৪ ওভারেই ১০২ রানের বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় ভারত। প্রথম উইকেটে দুজনের ১৪০ রানের জুটি ভাঙেন আফগান ফাস্ট বোলার করিম জানাত। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে প্রথম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি পাকিস্তানের বাবর আজম ও রিজওয়ানের। ভারতের বিপক্ষে চলতি বিশ^কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এ রেকর্ড গড়েন বাবররা। ৪৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। এর আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক এবং দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
এরপর ঋসভ পন্তকে নিয়ে রানের চাকা সচলের চেষ্টা চালান রাহুল। কিন্তু দলের খাতায় ৭ রান যোগ করতেই গুলবাদিন নাইবের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারির সাহায্য ৪৮ বলে ৬৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ বলে তিন এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ বলে ১৮ রান করেন তিনি। তার প্রস্থানের পর ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালাতে থাকেন পন্ত ও হার্দিক পান্ডিয়া। পন্ত ৩ ছক্কার মার ও ১ চারে ১৩ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আরেক প্রান্তে পান্ডিয়া ২ ছক্কা ও ৪ চারে ১৩ বলে ৩৫ করে অপরাজিত থাকেন। ভারত শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান সংগ্রহ করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়