১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

মিতু হত্যা মামলা : পিবিআইয়ের দেয়া প্রতিবেদন খারিজ হবে পুনঃতদন্ত

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী যে মামলা করেছিলেন, নতুন করে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে গত মে মাসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর ভিত্তিতেই বাবুলকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
অন্যদিকে ওই প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সিআইডি বা অন্য কোনো সংস্থার কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মাধ্যমে মিতু হত্যার ঘটনায় নিজের করা মামলাটির পুনঃতদন্ত চেয়েছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান গতকাল বুধবার পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। ফলে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটির কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে তার আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান।
তিনি বলেন, আদালত গ্রহণযোগ্যতার শুনানি করে পিবিআইয়ের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে বাবুল আক্তারের নারাজি দরখাস্ত অকার্যকর হয়ে গেছে। তবে কোন সংস্থার মাধ্যমে এখন এ মামলার পুনঃতদন্ত হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো আদালত দেয়নি।
আইনজীবী সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘একই অভিযোগ দুবার কেউ তদন্ত করতে পারে না। আইনগত কারণেই এটা পারে না। পরবর্তীতে অন্য কাউকে দিয়ে তদন্ত করতে হয়। আইন অনুযায়ী একই অপরাধের ঘটনায় দুটি মামলাও চলতে পারে না।’
তাহলে মিতুর বাবার করা মামলাটি কীভাবে চলবে জানতে চাইলে প্রসিকিউশন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কামরুল হাসান বলেন, ‘ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বেও রয়েছে পিবিআই। আদালত ওই মামলার বিষয়ে কোনো আদেশ যেহেতু দেয়নি, মামলা তাদের হাতেই থাকবে। পরে কী হবে সেটা আদালতই ঠিক করে দেবে।’
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন তখনকার পুলিশ সুপার বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই। হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ বছরের মাথায় গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়।
এর পর দিন ১২ মে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে তার স্বামী বাবুল আক্তারের ‘সম্পৃক্ততার প্রমাণ’ পেয়েছেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়