১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

বাউফলের নওমালা ও সূর্যমণি ইউপি : নৌকাকে হারাতে মরিয়া আ.লীগের একাংশ!

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য বাউফলের নওমালা ও সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের হারাতে একাট্টা হয়েছে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। আওয়ামী লীগের ওই অংশটি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থীদের পক্ষাবলম্বন করে গণসংযোগ করছেন এবং নৌকার পরিবর্তে ঘোড়া মার্কায় ভোট দিতে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। এ নিয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার জেলা আওয়ামী লীগকে জানালেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় নৌকার প্রার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিন নওমালা ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান পদে মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসকে মনোনীত করে নৌকা মার্কা দিয়েছেন। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক নেতা নওমালা এসে নৌকার পক্ষে সব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে গেছেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক জুয়েল, আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর উল্লাহ, সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন ফরাজী, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য এসএম ইউসুফ, দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএন জাহাঙ্গীর এবং বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বড় ভাই আবু তাহের খানসহ একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের অনুসারীরা নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী মো. শাহজাদা হাওলাদারের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নৌকার প্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস জানান, সিইসির বড় ভাই আবু তাহের খান প্রশাসনকে প্রভাবিত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন এবং ভোটারদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের অনুসারীরা শাহাজাদা হাওলাদারের পক্ষে কাজ করছেন। নৌকার নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছেন। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এনে নওমালা ইউনিয়নের ভোটারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করাচ্ছেন। এ বিষয়গুলো জেলা আওয়ামী লীগকে জানানো হয়েছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন এমন বিষয়টি তাদের অনেকেই অস্বীকার করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কিছু সদস্য প্রকাশ্যে নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বড় ভাই বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া বা দোয়া চাওয়া শোভনীয় নয়। এর ফলে প্রশাসন বিভ্রান্ত হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়