১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

নির্বাচনী সহিংসতা বাড়ছে : প্রশাসনকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা অব্যাহত থাকার বিষয়টি উদ্বেগজনক। রক্তাক্ত হচ্ছে নির্বাচনের মাঠ। এখন পর্যন্ত শুধু ইউপি নির্বাচন নিয়েই ২৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারি থেকে ইউপি, পৌরসভা, মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলার ভোটে আওয়ামী লীগের ৩৯ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। এ শঙ্কা দূর করতে হবে। জানা গেছে, গত ২০ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর দুদফায় প্রথম ধাপে ৩৬৫টি ইউপির ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৮৪৬টি ইউপিতে ভোট হবে আগামী ১১ নভেম্বর। এছাড়াও তৃতীয় ধাপের ১০০৭ ইউপিতে ভোট হবে ২৮ নভেম্বর। সহিংসতার পাশাপাশি এবারের ভোটে প্রভাব বিস্তারের ঘটনাও বেশ লক্ষণীয়। ভোট ছাড়াই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার হিড়িক পড়েছে। ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া মানে নিশ্চিত জয়। তাই প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে ওঠেন ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন পেতে। মনোনয়ন না পেলে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন। দুই পক্ষই তখন জেতার জন্য শক্তি প্রয়োগ করছে। ফলে আগে যে আন্তঃদলীয় সংঘাত হতো সেটা এখন অন্তঃদলীয় সংঘাতে রূপান্তরিত হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে অগাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই ক্ষমতা প্রয়োগের বিষয়টি নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের দৃঢ়তার ওপর। ২০০৮-১৩ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকার পর্যায়ের অসংখ্য নির্বাচনসহ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এই নির্বাচনগুলোয় কোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবেই ওই নির্বাচনগুলো স্বীকৃতি পেয়েছে। মনে রাখতে হবে, গণতান্ত্রিক দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। আপামর জনগণের প্রত্যাশাও তাই। নির্বাচনের আগে ও পরে আপনাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটা ভালো ভূমিকা থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আচরণবিধি প্রয়োগ করতে গিয়ে এমন কিছু করবে না যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। শুধু নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছাতেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, এমনটি বলতে চাই না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, প্রার্থী ও ভোটারদেরও আন্তরিক হতে হবে। প্রার্থীদের উচিত হবে- বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, কারচুপি বা দখলদারিত্বের আশ্রয় না নিয়ে জনগণের রায়ের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকা। ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারণা ও ভোটগ্রহণ যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে, সেদিকে ইসি ও রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ইসিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়