১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

ঢাবির দুই ভিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বর্তমান ভিসি মো. আখতারুজ্জামান ও সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও সাবেক রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ পালন না করায় এ রুল জারি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবেদনের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী মো. আছরারুল হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গতকাল বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামা নের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলে আদালতের আদেশ পালন না করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আছরারুল হক, সঙ্গে ছিলেন এডভোকেট আমিনুর রহমান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও সাবেক রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী আছরারুল হক জানান, ২০০৬ সালের মে মাসে মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষকের পদোন্নতি দেয়া হয়। পদোন্নতি না পেয়ে ওই বিভাগের এক শিক্ষক আয়েষা মাহমুদ হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে ২০০৬ সালের মে মাস থেকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়রিটিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি ওই তিন শিক্ষকের পদোন্নতির আদেশ বাতিল করা হয়।
এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপিল করে। আপিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রিটিসহ ২০০৬ সাল থেকে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অপর তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল থাকলেও আয়েষা মাহমুদের কোনো ক্ষতি হবে না। এরপর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল রায় দেন। হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আয়েষা মাহমুদকে নিয়ে হাইকোর্ট রায় বহাল রাখেন।
আছরারুল হক বলেন, আদালতের আদেশের পরেও ঢাবি কর্তৃপক্ষ টেকনিক্যালি আয়েষা মাহমুদকে সিনিয়রিটি হিসেবে দুই নম্বরে রাখলেন। কিন্তু সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে থাকা ওই তিন শিক্ষকের একজন  চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাই তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়