১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

ড. হাছান মাহমুদ : বিএনপি মহাসমুদ্রে আশা নিয়েই বেঁচে রয়েছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, তাদের জন্য মানুষ পরিবর্তন চায় কিনা সেটিই প্রশ্ন’- এমন কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, সহসভাপতি মধুসূদন মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মামুনুর রশীদ, দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রাণী, সদস্য উম্মুল ওয়ারা সুইটি, ড. উৎপল কুমার সরকার, শেখ নাজমুল হক ও নুরে জান্নাত সীমা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
‘আগামী নির্বাচনে পরিবর্তন আসবে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘মহাসমুদ্রে আশাই একমাত্র ভরসা। এই আশা নিয়েই বিএনপি বেঁচে আছে। আশা থাকা ভালো, সবাই তো চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। কিন্তু সেই পরিবর্তন বিএনপির জন্য মানুষ চায় কিনা, এটি হচ্ছে প্রশ্ন। উন্নয়ন অগ্রগতি বাদ দিয়ে যারা মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে কিংবা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষকে জিম্মি করার হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, তাদের জন্য মানুষ পরিবর্তন চায় কিনা সেটিই প্রশ্ন।
‘রোজিনা ইসলাম একটি সংস্থা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন, একইসঙ্গে সরকারি নথি চুরির অভিযোগে তিনি বিচারাধীন’ এমন এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুরস্কার পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন, নেদারল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান তাকে পুরস্কৃত করেছে এবং পাকিস্তানের একজন সাংবাদিকের হাত থেকে তার স্বামী পুরস্কার নিয়েছেন। বাকি বিষয়টা বিচারাধীন, এ বিষয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।
এর আগে বিএফইউজে নেতাদের সাক্ষাতে ড. হাছান বলেন, গত ১৩ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতির পাশাপাশি সাংবাদিকদের সংখ্যাও বেড়েছে, নানা ধরনের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোকে সবসময় নিজের সমস্যা মনে করে আমার শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতার মধ্যে যতদূর সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করে এসেছি। উপমহাদেশে বা অন্যদেশে করোনাকালে আমাদের দেশের মতো সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়নি। দেশে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের কথা বহু বছর ধরে বলা হয়েছে, কিন্তু হয়নি। এখন ক্লিনফিড বাস্তবায়িত হয়েছে, দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল উপকৃত হচ্ছে। এ সময় টেলিভিশন থেকে কোনো চাকরিচ্যুতি মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। করোনা চলে যাওয়ায় ব্যবসাবাণিজ্যের মতো গণমাধ্যমেও সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। করোনাকালে যাদের চাকরি গেছে, তারা আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হবেন বলে আমরা আশা করি।
সাংবাদিকদের সুরক্ষা বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি গণমাধ্যমে সব গণমাধ্যমকর্মীর জন্য বিমার ব্যবস্থা করলে তাদের সুরক্ষা হয়। ওয়েজবোর্ডেও এটি বলা আছে। আমি সবাইকে অনুরোধ জানাব দায়িত্বশীলভাবে এটি করার জন্য। একজন সাংবাদিক অনেক বছর চাকরি করার পর শূন্য হাতে চলে যাবে, এটা হওয়া উচিত নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়