১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

জেলহত্যা দিবসে কাদের : বিএনপি নির্বাচনে এলো কিনা দেখার বিষয় না

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির আসা-না আসা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না- এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। সময় ও ¯্রােত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। নির্বাচনও কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। বিএনপি নির্বাচনে এলো-কী এলো না তা দেখার বিষয় না। গতকাল বুধবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় চার নেতা হত্যার দায় বিএনপি এড়াতে পারে না মন্তব্য করতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের অভিভাবক শূন্য করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, আর নেতৃত্ব শূন্য করতে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। কারা এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছিল? আপনারা এই দায় এড়াতে চান? সুষ্পষ্ট প্রমাণ আছে খুনিদের রক্ষা করতে কে তাদের বিদেশে পাঠিয়েছিল, পুরস্কৃত করেছিল। খুনিদের পুরস্কৃত ও পুনর্বাসন করেছিল সেনাপতি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না, এই অধ্যাদেশের বৈধতা দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। মির্জা ফখরুল এটা কি অস্বীকার করতে পারবেন। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড আর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। খুনিদের মতোই একই অপরাধে তিনি অপরাধী। তিনি যদি হত্যাকারী না-ই হবেন, তাহলে এই হত্যার বিচার হবে না, এই আইনকে কেন বৈধতা দিলেন।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, , সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন দলটির কেন্দ্রীয় উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাদুঘরে চলে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর জাদুঘর থেকে ফিরে আসবে না। বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যতই হাকডাক করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য, কোনো লাভ হবে না। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে।
কাদের বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে। তারেক রহমান দেশের বাইরে আছে। মুচলেকা দিয়েছিল আর রাজনীতি করবে না। শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন, সাহস থাকলে মাঠে আসেন, মাঠে এসে রাজনীতি করেন। বিএনপির ক্ষমতার স্বপ্ন “দিল্লি অনেক দূর”। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পুনর্বাসিত করেছেন জিয়াউর রহমান। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল নয়, মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধার দল। এটা গণতান্ত্রিক দল নয়, বর্ণচোরা গণতান্ত্রিক দল। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। এখন দেশের এক নম্বর শত্রæ হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। আর এই সম্প্রদায়িকতার চারা জিয়াউর রহমান রোপণ করেছিল। সেই বিষবৃক্ষ এখন ডালপালা ছড়াচ্ছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ মহানগরের প্রতিটি শাখার নেতাকর্মীরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তারা সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের কালরাতে নিহত সব শহীদ ও কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করেন। রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরেও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার নেতা স্মরণে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমসহ কারাগারের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ইউনিয়নে দিবসটি যথাযথযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়