১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

গুরুদাসপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : উপজেলায় আবুল কাশেম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজ গেটে এ ঘটনা ঘটে। সকালেই নিহত আবুল কাশেমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত আবুল কাশেমের বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ল²ীপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের হাজি সায়েদ আলী মোল্লার ছেলে। কাশেম পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। একই ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে কেনাল (৪৪) কাশেমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। কেনালও পেশায় ব্যববাসী। ঘটনার পর থেকে কেনাল পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেম ও কেনাল পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা হলেও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। কাশেম ইরাক প্রবাসী ছিলেন। সেখান থেকে প্রায় ৫ বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। তবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কেনাল বন্ধু কাশেমের দারস্ত হন। একপর্যায়ে প্রায় ৩ বছর আগে বিদেশ যাওয়ার জন্য নিহত কাশেমের সঙ্গে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার আর্থিক লেনদেন করেন কেনাল। সময় পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন অজুহাতে কেনালকে বিদেশ পাঠাননি। এ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু জানান, কেনালের টাকা নিয়ে প্রায় ১ বছর আগে সালিশি বৈঠক হয়। সেসময় নিহত আবুল কাশেম ১ লাখ টাকা কেনালকে ফেরত দেন। বাকি ৮০ হাজার টাকার জন্য কাশেমের কাছ থেকে ফাঁকা চেক নেন কেনাল। কাশেম বাকি টাকা পরিশোধ করতে চাইলেও ফাঁকা চেকটি ফেরত দিতে তালবাহানা শুরু করেন কেনাল। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে রেষারেষি চলছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী মুদি দোকানি বেলাল হোসেন জানান, বুধবার সকালে তার দোকানের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিযুক্ত কেনাল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাইকেল নিয়ে বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন আবুল কাশেম। কাশেম তার দোকানের সামনে এলে কেনাল পথরোধ করেন। একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে কাশেমের মাথায় আঘাত করেন কেনাল। কাশেম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পিঠে এবং পেটে এলোপাতাড়িভাবে ছুড়িকাঘাত করে পালিয়ে যান কেনাল। পরে কাশেমকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাশেমকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন জানান, এখন ঘটনাস্থলে আছি। আসামি কেনাল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তাছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়