১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

কীটনাশকেও হচ্ছে না কাজ : তারাগঞ্জে ব্লাস্ট ও পোকার উপদ্রবে দিশেহারা কৃষক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তারাগঞ্জ (রংপুর) থেকে : তারাগঞ্জে আমন খেতে ব্লাস্ট (বিএলবি) ও কারেন্ট পোকা (বাদামি গাছফড়িং) রোগ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও এ রোগ দমন না হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। গাছের বৃদ্ধির সময় এ রোগ হওয়ায় ধানের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কুর্শা ইউনিয়নের ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান বলেন, ‘হামার উপজেলাত ৭-৮ বছর ধরে আমন মৌসুমে স্বর্ণা, হাইব্রিড জাতের ধান বেশি আবাদ হওচে। আগোত এই জাতের ধানের খেতোত কোনো রোগ বালাই না ধরলেও এবার এই রোগ খেতোত দেখা দিয়েছে। দুই থেকে তিন বার ওষুধ দিয়াও কাম হওচে না। গাছের পাতা লাল হয়া মরি যাওচে।’
ইকরচালী ইউনিয়নের ল²ীপুর গ্রামের কৃষক তারাজুল মিয়া বলেন, ‘খালি ব্লাস্ট রোগে খেতোত ধরে নাই, সেই সাথে কারেন্ট পোকাও ধরছে। জমি নেড়ানি দিয়া সার ওষুধ দেনো তাও এ রোগ সারোছে না। হামড়া কেমন করি ধানোত লাভ করমো। হামার গ্রামোত কোনো দিন মুই দ্যাখো নাই কৃষি অফিস থাকি কায়ও আসি খোজ খবর নেইল।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৯ হাজার ৯৪২ হেক্টর আবাদি জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৯ হাজার ৯৪৭ হেক্টর জমিতে আমন লাগানো হয়েছে।
কীটনাশক ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম ও সন্তোষ কুমার রায় বলেন, গত বছরের তুলনায় আমন মৌসুমে কৃষকরা ব্লাস্ট রোগ দমনে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকনাশক এবং কারেন্ট পোকা দমনে এসিফেড, নাইটেনপাইরাম, পাইমেট্রোজিন গ্রুপের কীটনাশক ওষুধ বেশি ব্যবহার করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাস্সুম বলেন, ব্লাস্ট ও কারেন্ট পোকা দমনে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে উপ-সহকারীরা এ বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়