১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

কষ্টার্জিত জয়ে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল কিউইরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও ভারতকে হারিয়ে সেমির পথে এক ধাপ এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। তবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ রানের জয় পেতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে কিউইদের। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকাল টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মার্টিন গাপটিলের ঝড়ো ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিউইদের সঙ্গে লড়াইটা দারুণ চালায় স্কটিশ ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু বোল্ট, সাউদিদের গতিতে পরাস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে থামে স্কটিশদের ইনিংস। মাইকেল লিস্ক শেষ দিকে ঝড়ের গতিতে ব্যাট চালিয়ে কিউইদের মনে ভীতি ছড়াকে থাকেন। ২০ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। কিউই বোলারদের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্ট ও ইশ সোদি ২টি করে উইকেট তুলে নেন। ৫৬ বলে ৯৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মার্টিন গাপটিল। এর আগে ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটে-বলে দারুণ জবাব দিতে থাকে স্কটল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিং জুটিতে জর্জ মুনসে ও কাইল কোয়েতজার নির্ভয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন। কিন্তু দলীয় ২১ রানে তাদের সে জুটি ভেঙে দেন কিউই ফাস্ট বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। স্কটিশ অধিনায়ক কোয়েতজার ৪ বাউন্ডারিতে ১১ বলে ১৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাথু ক্রস ও মুনসে ধরে খেলার চেষ্টা করেন। বল বুঝে ওঠার পরই তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই ব্যাটসম্যান। চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন স্পিনার ইশ সোদি। তার বল লং-অনে তুলে মারতে গিয়ে টিম সাউদির দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে তালু বন্দি হন মুনসে। ২ ওভার বাউন্ডারি ও ১ বাউন্ডারির সাহায্য ১৮ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুনসে। ৭.৫ ওভারে ৬৬ রান তুলে ২ উইকেট হারালেও, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল স্কটল্যান্ডের পক্ষেই। এক প্রান্ত আগলে ধরে রানের চাকা সচল রাখেন ক্রস।
তবে ইনিংসের একাদশ ওভারে সাউদির গতিতে পরাস্ত হয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। ২৯ বলে ৫ বাউন্ডারির সাহায্য ২৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৭৬ রানে তিন স্কটিশ টপ-অর্ডারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন কেন উইলিয়ামসনরা। দেখেশুনে খেলে ম্যাচ ফের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন রিচি বেরিংটন ও ক্যালাম ম্যাকলিওড। দলীয় রান একশ’র ঘর পার করতেই ম্যাকলিওডকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান বোল্ট। দলের খাতায় আর ৪ রান যোগ করতেই সোদির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন বেরিংটন। তিনি ১ বাউন্ডারি ও ১ ওভার বাউন্ডারিতে ১৭ বলে ২০ রান করেন। এরপর ক্রিস গ্রিভসকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন

মাইকেল লিস্ক। চার আর ছয়ে কিউইদের মনে ভীতি ছড়াতে থাকেন তিনি। মারমুখো ব্যাটিংয়ে লিস্ক ২০ বলে সমান ৩ বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। গ্রিভস ১০ বলে ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিউই বোলারদের মধ্যে ২৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নেন বোল্ট, ৪২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট সোদি ও ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন সাউদি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর পর হঠাৎ ছন্দপতন হয় নিউজিল্যান্ডের। প্রথম ওভারে ১৩ আর চতুর্থ ওভারে ১২ রান, উড়ন্ত সূচনা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রান দেয়া সাফিয়ান শরীফ পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই বাজিমাত করেন। ড্যারেল মিচেলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। ১১ বলে ১৩ রানে বিদায় নেন মিচেল। তিন বল কোনো রকমে ঠেকিয়ে চতুর্থ বলে শরীফের বলে উইকেটকিপার ম্যাথু ক্রসের গø্যাভস বন্দি হন কেন উইলিয়ামসন (০)। স্কোর ৩৫ থাকতেই নেই ২ উইকেট। এই ধাক্কাকে খুব একটা পাত্তা দেননি আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিল। পাওয়ার প্লেতে সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫২। উইলিয়ামসনের পরে নামা ডেভন কনওয়েকে ৩ বল খেলে ১ রানের বেশি করতে দেননি ওয়াট, ক্রসের গø্যাভসে ধরা পড়েন তিনি। একটু ধাক্কা লেগেছিল কিউইদের ব্যাটিং লাইনে, পরের বাউন্ডারি আসে ২৪ বল পর। ৫.৪ ওভারে প্রথম পঞ্চাশ করা নিউজিল্যান্ড ১০০ রানের ঘরে পৌঁছায় ১২.৪ ওভারে। তার দুই বল আগে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ১৫০তম ছক্কা মেরে ৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন গাপটিল।
তারপরও দারুণ সব শটে স্কটল্যান্ডকে হতাশ করতে থাকেন গাপটিল। গেøন ফিলিপসের সঙ্গে একশ’র বেশি জুটি গড়ার পথে আরো ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। একটা সময় নিউজিল্যান্ডের স্কোর ২০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার আভাস দিচ্ছিল, সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে গাপটিলের তৃতীয় সেঞ্চুরিও। কিন্তু ১৯তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন ব্র্যাড হুইল। পরপর দুই বলে ফিলিপস ও গাপটিলকে ফেরান।
গ্রিভসকে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ফিলিপস, ৩৭ বলে করেন ৩৩ রান। তার প্রস্থানে ভাঙে ১০৫ রানের জুটি। পরের বলে লং-অনে উড়িয়ে মেরেছিলেন গাপটিল, ম্যাকলিওড তা ধরে ফেলেন সীমানা পার হওয়ার আগেই। ৫৬ বলে ৬ চার ও ৭ ছয়ে ৯৩ রানের মারকুটে ইনিংস থামে আক্ষেপ নিয়ে। হুইলকে হ্যাটট্রিকের আক্ষেপে পোড়ান জেমস নিশাম। স্কটল্যান্ডের পক্ষে শরীফ ও হুইল সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়