১০ সরকারি ব্যাংকে নতুন ২০ ডিএমডি

আগের সংবাদ

মাসসেরার দৌড়ে সাকিব

পরের সংবাদ

কথিত আরসা নেতার লাশ গায়েব!

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কথিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মো. হাশিম জীবিত নাকি মৃত তা এখনো কেউ জানেন না। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার পায়, হোয়াইক্যং উনচিপ্রাংয়ের ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আরসা নেতা হাশিম গণপিটুনিতে নিহত’ হয়েছে। এমন খবর প্রচার পেলেও লাশের হদিস মেলেনি। থানা পুলিশ কিংবা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন, কেউ-ই তার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারছে না। এমনকি সে মৃত নাকি জীবিত আছে, তাও জানা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও ছবি দেখে সবাই ‘মারা গেছে’ অনুমান করছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত তথ্য পাইনি। তবে খোঁজখবর নিচ্ছি।
১৬ এপিবিএন অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ক্যাম্প ২১ ও ২২ সহ আশপাশের সব এলাকায় খোঁজ নেয়া হয়েছে। এপিবিএন সদস্যরা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয়রা সঠিক কিছু জানাতে পারছেন না। যদিও বিভিন্ন মাধ্যমে মৃত্যুর খবর পাচ্ছি।
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. নাইমুল হক বলেন, কথিত আরসা নেতা মো. হাশিমের নিহতের খবর পাচ্ছি। তবে লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সে কারণে আপাতত ‘মৃত’, ‘জীবিত’ কিছুই বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাংয়ের ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে মো. হাশিম। সে ওই ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। কয়েক দিন আগে তাকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছিল বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়।
জানা গেছে, আরসার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল হাশিম। রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড ও মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ছয়জন হত্যার অন্যতম হুকুমদাতা সে।
এসব ঘটনার কারণে রোহিঙ্গারা তার ওপর চরম ক্ষুব্ধ ছিল। মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের আসামি হিসেবে পুলিশও হাশিমকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়