ডিএমপি কমিশনার : স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে মামলা নয়

আগের সংবাদ

ইইউ-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অঙ্গীকার > ৫০ বছরেই ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ : এক হাজার কোটি ডলার তহবিলের নিশ্চয়তা, উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা

পরের সংবাদ

ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারল না টাইগাররা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মরুর বুকে চোরাবালিতে ডুবে গেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের স্বপ্ন। এবার সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী ভালো খেলবে এমন আশায় বুক বেঁধেছিল ভক্তরা। দেশ ছাড়ার আগে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন টাইগাররা। সেমিতে খেলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন দেশবাসীকে। এমনকি প্রবাসী দর্শকরা বেশ উচ্ছ¡াস নিয়ে টাইগারদের খেলা দেখতে গেলেও ম্যাচ শেষে ফিরেছেন হতাশ হয়ে। সুপার টুয়েলভে টানা চার ম্যাচ খেলে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি টাইগাররা। আগামীকাল নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মোকাবিলা করবে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে লড়াই করতে পারেনি লাল-সুবজের প্রতিনিধিরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রান তুলতে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। মামুলি রানের জবাবে ৬ উইকেটে ম্যাচ নিয়েছে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগারদের স্বল্প রানের জবাবে খেলতে নেমে ৪ উইকেট খোয়াতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের হারানোর সুবাদে ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে প্রোটিয়ারা। সেমির টিকেট নিশ্চিত করতে হলে এ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় পেতেই হবে। চার ম্যাচ জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইংলিশরা।
গতকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগাদের ৮৪ রানের ইনিংসটি তৃতীয় সর্বনি¤œ স্কোর। এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ ভারতের কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫.৪ ওভারে ৭০ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। তারও আগে ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫.৫ ওভারে ৮৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
তবে গতকাল ৮৫ রানে লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। তাসকিনের গতির সামনে রিজা হেনড্রিকস বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে ব্যর্থ হন। তিনি ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হন। ৪ ওভারে স্কোর বোর্ডে ২০ রান ওঠার পর মেহেদী হাসানের ওপর চড়াও হয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। টাইগার অফ স্পিনারকে টানা দুই-চার মেরেছেন এ ব্যাটসম্যান। তবে এক বল বিরতি দিয়ে এই স্পিনারের কাছে উইকেট হারান তিনি। ১৫ বলে তিন চারে ১৬ রান করা ডি কককে বোল্ড করেন মেহেদী। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদ ফের ব্যাটিং অর্ডারে আঘাত করেন। পঞ্চম বলে এইডেন মার্করাম রানের খাতা না খুলেই স্লিপে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। দলীয় ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারালেও চাপে পড়েনি প্রোটিয়ারা। কারণ এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও রাসি ফন ডার ডুসেনে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২২ রানে সাজঘরে ফিরেন ডুসেন। এরপর ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ চাড়েন বাভুমা প্রোটিয়া অধিনায়ক ২৮ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিন আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। প্রোটিয়া বোলার কাগিসো রাবাদার তোপে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দলীয় ২৪ হারায় ৩ উইকেট। পাঁচ বলের ব্যবধানে তিন টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠান প্রোটিয়া পেসার। তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৯ রানে সাজঘরে ফিরেন নাইম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে রাবাদাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ হন। পরের বলে আউট সৌম্য সরকারও। রাবাদার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার ডেলিভারি মিস করে প্যাডে লাগে বাঁ-হাতি এই ব্যাটাসম্যানের। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়।
গোল্ডেন ডাকে ফেরেন সৌম্য। এরপর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু শূন্যরানে আউট হয়ে মুশফিক হতাশাই উপহার দিয়েছেন। এরপর ক্রিজে আসেন টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ। তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৩ রানে সাজঘরে ফিরেন। মাহমুদউল্লাহর পর ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের কাছে বোল্ড আফিফ হোসেন। ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে এসে বড় শট খেলতে যান, টাইমিং হয়নি। ভেঙে যায় স্টাম্প। এদিন তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্যের মুখ দেখলেন আফিফ। দলীয় ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে টাইগাররা। তবে চাপ সামলে লড়াই করার আভাস দিচ্ছিল লিটন দাস। কিন্তু তিনি দুঃসময়ে বাংলাদেশকে পথে তুলতে পারলেন না। ৩৬ বলে ১ চারে ২৪ রান করে তাবরাইজ শামসির বলে আউট হন লিটন।
এরপর ক্রিজে আসেন যুব বিশ্বকাপজয়ী অলরাউন্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারি। কিন্তু বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচ স্মরণীয় করতে পারলেন না তিনি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রসংশা কুড়ালেও এই ম্যাচ খেললেন ধীরগতির ইনিংস। শামীম ১১ রানে আউট হন। এরপর মেহেদী একাই লড়াই করেন। তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি কেউ। মেহেদী ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করে আউট হন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নর্টিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়