ডিএমপি কমিশনার : স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে মামলা নয়

আগের সংবাদ

ইইউ-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অঙ্গীকার > ৫০ বছরেই ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ : এক হাজার কোটি ডলার তহবিলের নিশ্চয়তা, উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা

পরের সংবাদ

বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি : দুই দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ শীতল আক্তারের

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ শীতল আক্তারের (২৭) সন্ধান মেলেনি দুদিনেও। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি। দুর্ঘটনার পর থেকেই তার পরিবারের সদস্যরা এক কাপড়ে বুড়িগঙ্গা পাড়ে বিলাপ করছেন। তাদের কেউ কেউ শীতলের সন্ধানে নিজ উদ্যোগে বুড়িগঙ্গায় নৌকা টহল দিচ্ছেন। এদিকে এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সদরঘাট রিভার ফায়ার স্টেশনের (শ্যামপুর) স্টেশন অফিসার আবদুল মালেক মোল্লা জানান, তাদের ডুবুরি দল গতকাল সারা দিন উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ নারীর সন্ধান পায়নি। সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সোমবার সারা রাতও তাদের টিম পোস্তগোলা পর্যন্ত টহল দিয়েছে। নিখোঁজের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
সোমবার সকালের এই নৌকাডুবির ঘটনায় দুপুরের মধ্যেই নিখোঁজ শীতলের ছেলে শফিকুল (৭), বড় বোন রেখা (২৯) ও রেখার মেয়ে সানজিদার (৮) মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। ওই দিনই তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌপুলিশ। রেখা ও তার মেয়ে সানজিদাকে গতকাল আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। আর শিশু শফিকুলকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে দাফন করা হয়েছে।
নিখোঁজ শীতল আক্তারের চাচাতো ভাই সোহেল জানান, শীতলের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর। তারা ঢাকায় কামরাঙ্গীরচর চাঁন মসজিদ এলাকায় থাকেন। শীতলের স্বামী দেলোয়ার একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে শফিকুল (৭) নৌকাডুবিতে মারা গেছে। ছোট মেয়ে ছায়া নৌকায় থাকলেও সে প্রাণে বেঁচে যায়। সোহেল জানান, কেরানীগঞ্জ খোলামুড়া এলাকায় থাকতেন নিহত রেখা। নিখোঁজ শীতল ও নিহত রেখার পরিবার চাঁন মসজিদ এলাকায় তাদের মায়ের বাসায় বেড়ানো শেষে ওই দিন রেখার বাসায় যাওয়ার পথেই নৌকাডুবি হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু সালাম মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহত রেখার স্বামী সিরাজ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে নৌপুলিশ।
বরিশুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সোবাহান মিয়া বলেন, ঘটনার দিন আটক ছয়জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি তদন্ত চলছে। নিখোঁজ শীতলের সন্ধানে তাদের টিমও কাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়