ডিএমপি কমিশনার : স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে মামলা নয়

আগের সংবাদ

ইইউ-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অঙ্গীকার > ৫০ বছরেই ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ : এক হাজার কোটি ডলার তহবিলের নিশ্চয়তা, উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা

পরের সংবাদ

বন্যায় ভেঙে গেছে লালমনিরহাট-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক : যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে ১০ লাখ মানুষ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : তিস্তায় হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পানির তোড়ে ভেঙে গেছে লালমনিরহাট-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। এখন পর্যন্ত ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও রংপুরের প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা সড়কের এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। কেউ মালামাল নিয়ে কেউ-বা শিশু সন্তান কোলে নিয়ে কেউ-বা অসুস্থ রোগীকে নিয়ে এই বিলীন হওয়া রাস্তাটি পার হতে দেখা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় হঠাৎ করে উপজেলার কাকিনা রুদ্রশ্বর মিলন বাজার এলাকায় এ মহাসড়কটি ভাঙনের মুখে পড়ে। এতে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলা, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও রংপুর, গঙ্গাচড়া, হারাগাছ এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিশেষ করে রোগীদের নিয়ে ভীষণ বিপাকে পড়েছেন স্বজনরা। এ সড়ক দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত রোগী যাতায়াত করতেন। ভাঙনের ফলে সেটিও করতে পারছেন রোগীর স্বজনরা। ফলে লালমনিরহাট হয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। গত ২০ অক্টোবর ভোরে উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে তিস্তার প্রবল স্রোতে পাকা রাস্তা ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট ভাঙনের মুখে পড়েছে।
ভুক্তভোগী এক প্রতিবন্ধীর স্বজন দেলোয়ার বলেন, আমার মেয়েটিকে রংপুর ক্লিনিকে সিজার করতে হবে। কিন্তু রাস্তা ভাঙার কারণে যেতে পারছি না। তাই দুজন দুই হাত ধরে হেঁটে ভাঙা রাস্তা পার হচ্ছি। ভোটমারী এলাকার মেরিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছি। খরচের টাকা নেই। তাই ভাঙা রাস্তা পার হয়ে বাড়িতে গিয়ে টাকা আনতে যাচ্ছি। রাস্তা ভাঙার কারণে দুর্ভোগে পড়েছি। তুষভাণ্ডার এলাকার বাসিন্দা নাসিরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, সড়কটি তিস্তা নদীতে বিলীন হওয়ায় আমাদের যাতায়াতের জন্য খুবই কষ্ট হয়ে পড়ছে। আমরা চাই সড়কটি দ্রত সংস্কার করা হোক। এ সড়ক দিয়ে রংপুর এবং লালমনিরহাটের কয়েক লাখ মানুষ চলাচল করেন।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বন্যা এলাকায় ভাঙন ও সংস্কাররোধে কাজ করছি।
লালমনিরহাটের কাকিনা-মহিপুর-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ভাঙনের বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বলেন, এ সড়ক দিয়ে রংপুর-লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার লোকজন যাতায়াত করে। এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। তবে হঠাৎ করেই তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লোকালয়ে ঢুকে যায়। এতে এ মহাসড়কটি পানির তোড়ে ভেঙে যায়। আমরা সড়কটি সংস্কারে কাজ শুরু করেছি। আপাতত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়