ডিএমপি কমিশনার : স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে মামলা নয়

আগের সংবাদ

ইইউ-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অঙ্গীকার > ৫০ বছরেই ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ : এক হাজার কোটি ডলার তহবিলের নিশ্চয়তা, উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারে ফাটল : ‘আপাতত’ ভয়ের কিছু নেই

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরীর বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভারে র‌্যাম্পের পিলারে যে ফাটল দেখা গেছে তাতে আপাতত ভয়ের কিছু নেই বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রহমান ভুঁইয়া। পিলারে ফাটলের ঘটনায় গঠিত ‘নিরপেক্ষ’ তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে ‘দ্রুততম সময়ে’ সিটি করপোরেশনে প্রতিবেদন দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা সেখান থেকে জানতে পারবেন। তবে আপাতদৃষ্টিতে যা মনে হলো, ভয়ের কিছু নেই।’
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ইনস্টিটিউট অব আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রহমান ছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান এ কমিটির সদস্য। গত মঙ্গলবার দুপুরে তারা যখন ফ্লাইওভারের ওই র‌্যাম্পটি দেখছিলেন, তখন সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের র‌্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই পুলিশ ওই র‌্যাম্পে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে ওই এলাকায় তীব্র যানজট হয়।
ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হস্তান্তরের পর থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। গত মঙ্গলবার প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্ভব হলে আগামীকালের মধ্যেই প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেব।’ পরিদর্শনের পর ফাটলের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মতামত আমরা আগেই বলেছি। এখন তদন্ত চলাকালে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। প্রতিবেদন পেলে আপনাদের জানাব।’
এর আগে ২৬ অক্টোবর দুপুরে ফ্লাইওভারটি পরিদর্শনে গিয়ে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ফাটল দেখে র‌্যাম্পের নির্মাণ ত্রæটি অথবা নকশাগত ত্রæটি থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন। সেদিনই সকালে ফ্লাইওভারটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেছিলেন, হালকা গাড়ির জন্য তৈরি র‌্যাম্পে ভারী গাড়ি চলায় ফাটল হতে পারে। তবে সেদিন বিকালে তিনি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, সেখানে কোনো ‘ফাটল হয়নি’। এর পরদিনই ২৭ অক্টোবর নকশা প্রণয়নকারী কোম্পানি ডিজাইন প্ল্যানিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) কনসালটেন্ট লিমিটেড এবং ঠিকাদারি কোম্পানি ম্যাক্স গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা পরিদর্শন শেষে দাবি করেন, ফ্লাইওভারের পিলারে কোনো ফাটল নেই, যা দেখা যাচ্ছে তা হলো ‘কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট’।
র‌্যাম্পটি হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য নকশা করা হলেও সেখানে ভারী যানবাহন চলাচল করার বিষয়টি দুই সংস্থাই স্বীকার করেছে। তবে র‌্যাম্পের শুরুতে ‘হাইট বেরিয়ার’ না থাকার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে সরকারি সেবা সংস্থা দুটি। ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দর নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত ১ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার এ ফ্লাইওভারটি ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন।
এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত র‌্যাম্পটি প্রায় চার বছর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে চালু করা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ফ্লাইওভারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে চউক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়