ডিএমপি কমিশনার : স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে মামলা নয়

আগের সংবাদ

ইইউ-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অঙ্গীকার > ৫০ বছরেই ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ : এক হাজার কোটি ডলার তহবিলের নিশ্চয়তা, উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা

পরের সংবাদ

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় ইসি ‘বিব্রত ও উদ্বিগ্ন’

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় কমিশন ‘বিব্রত ও উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। সহিংসতার বিষয়টি স্বীকার করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ইতিবাচক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।
এর আগে ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনাররা। রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে সিইসি ছাড়াও তিনজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা অংশ নেন।
বৈঠকের পর সিইসি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যাচ্ছে ঠিকই, আমরাও তা প্রত্যক্ষ করছি। মাঠপর্যায়ে কী ধরনের নির্দেশনা দেয়া দরকার, সেগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করছি। আগামীকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক ঘটনা ঘটেছে, তাতে বিব্রত হচ্ছি, উদ্বেগ কাজ করছে। সেগুলো কীভাবে নিরসন করা যায়, তা নিয়ে কমিশনারদের সঙ্গে আরো বিস্তারিত আলোচনা করে মাঠপর্যায়ের যারা আছেন তাদের নির্দেশনা দেয়া হবে। তবে নির্বাচনের পরিস্থিতি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ আছে বলে জানিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনে যারা অংশ নেন, যেমন- রাজনৈতিক দল, ভোটার ও প্রার্থীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। সুতরাং আমরা এখানে যতই যা করি না কেন, মাঠপর্যায়ে যদি সহনশীলতা না থাকে, তাহলে এ নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে কিন্তু প্রতিহিংসামূলক হবে না- এটা আহ্বান করি। মাঠপর্যায়ে নির্বাচনে সহিংসতা যে বেড়েছে, তা সবার প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
কে এম নূরুল হুদা বলেন কিন্তু দুঃখজনকভাবে সত্য যে, আমরা দলগুলোর ভূমিকা খুব পজেটিভ দেখছি না। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। নির্বাচনের বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনের নয়, এটা সবারই। আমরা শুধু নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় থাকি। তারা (রাজনৈতিক দল) আরো একটু প্রো-অ্যাকটিভ হলে সহিংসতা কমবে।
আইন প্রয়োগে শিথিলতায় সহিংসতা বেড়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যখনই যেসব অভিযোগ আসছে, সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেই। অন দ্য স্পট যত ফৌজদারি ঘটনা ঘটে, সেগুলোর বিষয়ে প্রস্তুতি থাকে না। হঠাৎ ক্রিমিনাল অফেন্স ঘটে যায়। তখনই আমরা ব্যবস্থা নেই। এসব ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত হয় না, হঠাৎ ঘটে যায়। যে কারণে প্রশাসন আগে থেকে তা জানতে পারে না। ফৌজদারি যেসব ঘটনা ঘটে, সেগুলো সেই ফৌজদারি আইনে নির্ধারিত হবে। এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে।
শরীয়তপুরের চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে জাল সইয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইসির পদক্ষেপের বিষয়ে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি সেখানে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের সব দিক নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। তাদেরও জবাবদিহির অধীনে আনা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়