ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** ১২ বছরের কম বয়সিদের টিকা এখনই নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ** আজ থেকে ৮ কেন্দ্রে টিকা পাবে শিক্ষার্থীরা **
কাগজ প্রতিবেদক : দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে ১২ বছরের কম বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকা এখনই দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ তথ্য জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর মিলার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ পায় আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী মাহজাবিন তমা এবং একই ক্লাসের তাহসান হোসেন। দেশে আপাতত কিশোর বয়সি শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেয়া হবে। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে এই টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। তাদের কারোর কোনো সমস্যা না হওয়ায় এখন সারাদেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার থেকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজসহ রাজধানীর ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা দেয়া হবে। কেন্দ্রগুলো হলো- বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমণ্ডির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল। আর টিকা নেয়ার পর কোনো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। আপাতত রাজধানীর ৮টি স্কুলকে টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫ হাজার করে ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দেয়া হবে।
টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে কোনো

সংকট নেই। তাদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ টিকার ৯৬ লাখ ডোজ আমরা হাতে পেয়েছি। এর মধ্যে ১৪ লাখ ডোজ দেয়া হয়েছে। হাতে থাকা ৮২ লাখ ডোজ শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে। আরো বেশ কিছু টিকা পাইপলাইনে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তারা আগামীতে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেবে। ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জটিলতা কেটেছে। আগের তুলনায় দ্বিগুণ আল্ট্রা লো ফ্রিজার আছে। তাই পর্যায়ক্রমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিশুদেরও টিকা দেয়া হবে। সারাদেশের সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার জন্য ৩ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন হবে। তবে, ১২ বছরের কম বয়সিদের এখনই টিকা দেয়া হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সীমিত আকারে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছি। কিন্তু টিকাদান কার্যক্রম যত সফল হবে তত দ্রুত স্কুলে পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে পারব। আশা করছি, নতুন বছরের শুরু পর্যন্ত আমরা টিকাদান কার্যক্রমে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব। শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়