ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

মাছ নয় বড়শিতে আটকা পড়ল কালো বক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : ধারণা করা হয়, বক মানেই সাদা এক প্রকারের পরিযায়ী পাখি। কিন্তু নতুন সেই ধারণার সঙ্গে এবার সংযুক্ত হলো কালো বকও। গতকাল সোমবার এমনই একটি বকের সন্ধান মিলেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে। আর বিরল এই বকটির সন্ধান পাওয়ার ঘটনাটিও একটু ভিন্ন। এটি আটকা পড়ে বড়শিতে। সাধারণত বড়শিতে মাছ ধরা হয়। কিন্তু এবার আটকা পড়ল বক। তাও বিরল প্রজাতির কলো বক। বড়শিতে বক আটকে যাওয়ার খবর পেয়েই শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরে ছুটে যান বন্যপ্রাণী সেবা

ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় সেখান থেকে বকটিকে কিছুটা আহত অবস্থয়া উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে।
স্বপন দেব সজল দেব জানান, গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে খবর পেয়ে তিনি হাইল হাওরে গিয়ে এক মৎস্যচাষির বরশির টোপে লাগা পাখিটিকে উদ্ধার করেন।
তিনি জানান, বরশিটি ছিল মাছ টোপের। ওই টোপের মাছ খেতে গিয়ে সে আটকা পড়ে। তিনি আরো জানান, বরশির টানাটানিতে তার ঠোঁটের কিছু অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তিনি পাখিটিকে সেবা ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, প্রথমে বকটিকে চেনেননি। সেবা ফাউন্ডেশনে নিয়ে এসে বই দেখে ও পাখি বিশেজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন এটি কালো বক।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাইন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, এটি কালো রঙের বক। হাওর যখন উন্মুক্ত ছিল, এর পরিসর আরো বড় ছিল, তখন মাঝেমধ্যে এই বক দেখা যেত। তবে এখন আর সচরাচর এদের চোখে পড়ে না। এ পাখিটির বাংলা নাম কালি বক, ইংরেজি নাম ব্লাক বিটার্ন, সিলেটি ভাষায় বা স্থানীয়দের কাছে কালো বগলা নামেও এরা পরিচিত। তিনি জানান, একটু সুস্থ হওয়ার পর বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে পাখিটিকে বাইক্কা বিল অভয় আশ্রমে অবমুক্ত করা হবে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র জানান, এদের সচরাচর দেখা যায় না। তবে এটি এ অঞ্চলেরই পাখি। বিশেষ করে মৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলে এদের এক সময় প্রচুর দেখা যেত। এরা বিলে থাকতে পছন্দ করে। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া প্রাণীটি একটু সুস্থ হলেই আবার বনে অবমুক্ত করা হবে।
এদিকে বন্যপ্রাণীদের বিচরণের নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ সংকটের কবলে পড়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পাখিপ্রেমীরা। পাখিপ্রেমী খোকন থৌনাউজাম ও সুহেল শ্যাম বলেন, বন-হাওর সবই ভূমিদস্যু ও লোভী মানুষের দখলে যাচ্ছে। এতে প্রতিদিন বিপদাপন্ন হচ্ছে প্রাণীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়