ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নোয়াখালীর ভাসানচরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে জাতিসংঘ। এর অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার জাতিসংঘের দুটি সংস্থার প্রতিনিধিরা ভাসানচরে পৌঁছেছেন। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে নৌবাহিনীর সহায়তায় জাহাজে করে তারা সেখানে যান। প্রতিনিধিদলে ইউএসএইচসিআর ও ডব্লিউএফপির ২১ সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভাসানচর প্রকল্পের উপপরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির জানিয়েছেন, ইউএসএইচসিআর ও ডব্লিউএফপির প্রতিনিধিদল নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ডলফিন’-এ করে ভাসানচরে পৌঁছায়। দলটি সেখানে প্রাথমিকভাবে তিন দিন অবস্থান করবে। ভাসানচরে সাপ্লাই চেইন কী রকম হবে, তাদের অফিস, স্টোরেজ এবং মানবিক কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনবিষয়ক কমিশনার শাহ মো. রেজোয়ান হায়াত সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের দুটি সংস্থার একটি প্রতিনিধিদলের প্রতিনিধিরা ভাসানচরে অবস্থান করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরের যৌথ উদ্যোগে রোহিঙ্গা নাগরিকদের খাদ্য ও পুষ্টি, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, চিকিৎসা, মিয়ানমার কারিকুলাম ও ভাষায় এফডিএমএনদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকায়নের ব্যবস্থা করা হবে ভাসানচরে, যে কাজটি এত দিন সরকার একাই করে আসছিল। বাংলাদেশ সরকার এখানে বসবাসরত এফডিএমএন ও কর্মরত জাতিসংঘ, এর সহযোগী সংস্থা ও দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয় দেখাশোনা করবে।
জানা গেছে, বর্তমানে ভাসানচরে সাড়ে ১৮ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ভাসানচরে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের সুবিধার জন্য প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি যানবাহনও জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত দেড় বছরে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়ার পাশাপাশি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে মানানোর চেষ্টা চালিয়ে যায় বাংলাদেশ, আর তাতে সফলতাও এলো।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রয়েছে। ২০১৭ সালে তার সঙ্গে যোগ হয় আরো ৭ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের সহায়তায় জাতিসংঘ কাজ করে যাচ্ছিল। তবে কক্সবাজারের ওপর থেকে চাপ কমাতে বাংলাদেশ সরকার যখন রোহিঙ্গাদের একাংশকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেয়ার উদ্যোগ নেয়, তাতে বিরোধিতা করে বিশ্ব সংস্থাটি। তবে সে অবস্থান থেকে সরে এসে সংস্থাটি সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। তারই ফলশ্রæতিতে এ বছরের ৯ অক্টোবর জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করে। ওই দিন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহসীন বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘের সংস্থাগুলো কর্তৃক কক্সবাজারের মতো ভাসানচরেও মানবিক সহায়তা পরিচালিত হবে। এখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে বেসামরিক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়