ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন : মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি মূল্য

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্ববাজারে ক্রমাগত বাড়ছে জ্বালানির দাম। অভূতপূর্ব মূল্যবৃদ্ধি অনেক উদীয়মান বাজারকে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিতে ফেলেছে। বিপদের মুখে রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোও। স¤প্রতি এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম ৮০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এমনটা উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক জানায়, আগামী বছরও শক্তিশালী চাহিদা অব্যাহত থাকবে। ফলে ওই বছর জ্বালানির দাম আরো ২ শতাংশেরও বেশি বাড়তে পারে। কমোডিটি মার্কেট আউটলুক: আরবানাইজেশন এন্ড কমোডিটি ডিমান্ড শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে তীব্র সংকট থাকলেও দুই বছরের মধ্যে বাজারের চিত্র পাল্টাবে। ২০২৩ সালের মধ্যে জ্বালানি পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। আশা করা যাচ্ছে, ওই সময় দাম অনেকটাই কমবে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার বর্তমানে লাগাম ছাড়া। রেকর্ড মাত্রায় বাড়ছে সব ধরনের পণ্যের দাম। মূল্যবৃদ্ধির এ ঊর্ধ্বগতি যদি স্থায়ী হয়, তাহলে জ্বালানি আমদানিনির্ভর দেশগুলোর অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়তে পারে। স্বল্প আয়ের দেশগুলোয় মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা।
ইউরোপের বাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ জ্বালানি সংকট চলছে। শুধু অক্টোবরেই এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। ফলে বিদ্যুৎ, শিল্প, খাদ্যসহ সব খাতেই উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। ভোক্তা পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে পণ্যের দাম। এদিকে চীন ও ভারতসহ এশিয়া অঞ্চলেও জ্বালানি সংকট প্রকট। এ অঞ্চলের দেশগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লানির্ভর। কিন্তু স¤প্রতি এসব দেশে কয়লাশূন্যতা তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দামও বাড়ছে। জ্বালানি পণ্যের সা¤প্রতিক আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি খাদ্যপণ্যের বাজারকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলছে। এটি স্বল্প আয়ের কয়েকটি দেশকে খাদ্য মূল্যস্ফীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ইথিওপিয়া, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে। এছাড়া তুরস্ক ও আর্জেন্টিনার মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোও ঝুঁকিতে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মাসভিত্তিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত মাসে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম এক দশকের সর্বোচ্চে উঠে আসে। গত বছরের তুলনায় মূল্যসূচক বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময় কৃষিপণ্যের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
মহামারি, উৎপাদন ঘাটতি, শ্রমিক সংকট, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা কারণে দাম বাড়ছে। এক্ষেত্রে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বড় ভূমিকা রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, শুধু চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেই জ্বালানির দাম আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৭ শতাংশ, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৬৯ এবং কয়লার দাম ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
চলতি বছর জ্বালানি পণ্যের নমিনাল প্রাইস ইনডেক্স ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস মিলেছে। কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে প্রাইস ইনডেক্স বাড়বে ২২ শতাংশ। সারের দাম ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়তে পারে। এছাড়া ধাতব ও খনিজ সম্পদের দাম ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছর প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম দাঁড়াবে ৭০ ডলারে। আগামী বছর গড় দাম বেড়ে ৭৪ ডলারে পৌঁছতে পারে। তবে ২০২৩ সালে দাম কমে গড়ে ৬৫ ডলারে নেমে আসতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়