ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপে তিন হ্যাটট্রিক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ডাবল হ্যাটট্রিকের এমন অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের কুর্তিস ক্যাম্পার। বিশ্বকাপের বাঁছাইপর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে চার বলে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক করার পাশাপাশি ডাবল হ্যাটট্রিক করে ফেলেন। কুর্তিসে এ হ্যাটট্রিকটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয়। প্রথমটি হয়েছিল ২০০৭ সালে। সেবার বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি বোলার ব্রেট লি।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে ক্রিকেট ভক্তদের অপেক্ষা করতে হয় ১৪টি বছর। ফলে যখন আইরিশ বোলার কুর্তিস হ্যাটট্রিক করেন তখন অনেকে চিন্তা করতে থাকেন বিশ্বকাপের তৃতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা মিলবে আবার কবে? আরেকটি হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে কি আরো ১৪ বছর বা তারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে? এ চিন্তাটা করাটা স্বাভাবিকই। কারণ হ্যাটট্রিকের দেখা মেলে না প্রতিদিন।
তবে দর্শকদের বিশ্বকাপের তৃতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা মিলতে বছর অপেক্ষা করতে হয়নি। কারণ চলমান সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখা মিলেছে আরেকটি হ্যাটট্রিকের। এটি করেছেন শ্রীলঙ্কার বোলার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। সুপার টুয়েলভের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি হ্যাটট্রিক করেন। যদিও হাসারাঙ্গা একটি ওভারে হ্যাটট্রিক করেননি। তিনি প্রথমে নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে একটি উইকেট তুলে নেন। এরপর চতুর্থ ওভারের প্রথম দুটি ম্যাচে দুটি উইকেট নিয়ে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখান।
কুর্তিস ক্যাম্পারের ডাবল হ্যাটট্রিকের সুবাদে ওই ম্যাচটিতে নেদারল্যান্ডস মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায়। এই রান আইরিশরা তিন উইকেট হারিয়ে ও মাত্র ১৫.১ ওভার খেলেই টপকে যায়। ফলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি। কুর্তিস সব মিলিয়ে চার ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে ওই চারটি উইকেটই তুলে নেন।
অন্যদিকে ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিক করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন ব্রেট লি। ওই ম্যাচে তিনি চার ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেটই পেয়েছিলেন। এই অজি গতি তারকার গতির তোপে পরে সে ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৩ রান করতে সমর্থ হয়। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের দেয়া সেই মামুলি টার্গেট মাত্র ১ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায়। এই রান করতে তাদের খেলতে হয়েছিল মাত্র ১৩.৫ ওভার।
হাসারাঙ্গা হ্যাটট্রিক করার পরও যেহেতু শ্রীলঙ্কা জয় তুলে নিতে পারেনি তাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার আর ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা হয়নি। যদি কোনোভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে লঙ্কানরা হারিয়ে দিতে পারত তাহলে তার হাতেই যেত পুরস্কার। হাসারাঙ্গার জন্য বিষয়টি আরো কষ্টের কারণ হয়েছে হয়তো। কারণ ওই ম্যাচের শেষ দিকে ডেভিড মিলার দলকে জিতিয়ে দিলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান বোলার তাবরিজ শামসি। কারণ তিনি চার ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। অপরদিকে হাসারাঙ্গা চার ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়