ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রাম নেতাদের রেলমন্ত্রী : জনগণ না চাইলে সিআরবিতে কোনো হাসপাতাল হবে না

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চট্টগ্রামবাসী না চাইলে রেলের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামের সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ে (সিআরবি) হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। গতকাল সোমবার রেল ভবনে নাগরিক সমাজ-চটগ্রামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা জানান তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল করতে হলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) থেকে নকশা অনুমোদন করতে হবে। সিডিএ যদি নকশা না দেয় সেখানে হাসপাতাল হবে কী করে। আর অন্যান্য সংস্থার অনুমোদনে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেখানে কোনো কিছু করা সম্ভব না। সবচেয়ে বড় কথা চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সেখানে হাসপাতাল প্রকল্প হবে না।
রেলমন্ত্রী বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প রেল মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেনি। এটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পিপিপি অথোরিটির প্রকল্প। বিনিয়োগও বেসরকারি। সুতরাং রেল মন্ত্রণালয়ের এখানে করার কিছু নেই। মন্ত্রী বলেন, নাগরিক সমাজের দেয়া যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব, তিনিই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে আমার অভিমত হচ্ছে, আইন ও চট্টগ্রামবাসীর মনোভাবের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। আমরা যা কিছু করছি জনগণের কল্যাণে। জনগণের কল্যাণে সরকার প্রকল্প গ্রহণ করে। মতবিনিময়কালে মন্ত্রীর কাছে প্রকল্পের যাবতীয় অসঙ্গতি তুলে ধরে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন নাগরিক সমাজ- চট্টগ্রামের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।
এ সময় ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল মন্ত্রীকে বলেন, সিআরবি হচ্ছে ২০০৯ সালের গেজেট অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অনুমোদিত ও সরকার ঘোষিত হেরিটেজ জোন। এখানে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা হতে পারে না। আইনত নিষিদ্ধ। তাছাড়া এটি চট্টগ্রামের ফুসফুস এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।
রেলে বিনোয়োগে আগ্রহী রাশিয়া
এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রেলমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে রাশিয়াকেও বাংলাদেশের রেল খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। রেলমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন এবং স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে রাশিয়ার স্বীকৃতি দানের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সব লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের বেশির ভাগই সিঙ্গেল লাইন। পর্যায়ক্রমে সব লাইনকে ডাবলে উন্নীত করার?ও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান এবং আগামীতে আরো অনেক প্রকল্প নেয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রেল খাতের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, রেলওয়েতে আমরা নতুন কোচ, ইঞ্জিন সংগ্রহ করছি। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে, ব্রিজ নির্মাণ ও সংস্কার করা হচ্ছে। সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপনসহ এ সব ক্ষেত্রে রাশিয়া বিনিয়োগ করতে পারে। রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত এ সময় রেলমন্ত্রীকে রাশিয়া ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালে মন্ত্রী রাশিয়ার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রযুক্তিসহ সেখানকার রেলওয়ে কোচ ও ইঞ্জিন তৈরির কারখানা সরজমিন দেখার জন্য প্রস্তাব দেন এবং আগামী মাসে উপযুক্ত সময়ে রাশিয়া ভ্রমণের কথা জানান।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, রাশিয়া দূতাবাসের তৃতীয় সচিব অ্যান্টন ভেরেসচাগিন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়