ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

কাদের আশকারায় বেপরোয়া ছাত্রলীগ?

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উপদলীয় কোন্দল, আধিপত্য বিস্তারের লড়াই, মারামারি করে আবারো সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গত শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সহপাঠীরা হামলা চালিয়ে থেঁতলে দিয়েছে মাহাদি জে আকিব নামে এক শিক্ষার্থীকে। তিনি এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষ তাকে নির্মমভাবে কুপিয়েছে। তিনি এখন চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। প্রায় দুই বছর ধরে চমেক ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘাত-সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব নিয়ে ক্যাম্পাসে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। তাদের এমন বেপরোয়া আচরণে বিব্রত আওয়ামী লীগ। সরকার যখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে তখন সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের নিজেদের মধ্যে এমন আচরণ আমাদের বিস্মিত না করে পারে না। জানা গেছে, প্রায় ৩৭ বছর ধরে চমেক ক্যাম্পাসে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের আধিপত্য রয়েছে। এ আধিপত্য খর্ব করে প্রায় দুই বছর আগে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারীরা নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় হয়েছেন। এ জন্য প্রায় বিনা উসকানিতে তারা সংঘাত-সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সর্বশেষ শুক্র ও শনিবার তিন দফা সংঘর্ষে তিনজন আহত হন। চমেক ক্যাম্পাসে রবিবারও বিবদমান গ্রুপগুলো বিক্ষোভ করেছে। চমেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল ত্যাগ করলেও কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে, যা মোটেই কাম্য নয়। আওয়ামী লীগ দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির যে কোনো সংকট ও ক্রান্তিকালে এ দল ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। অথচ এখন আমরা দেখছি স্বার্থের মাপকাঠিতে সবকিছু বিচার করে দলটির নেতাকর্মীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন। সরকারের অনেক ইতিবাচক অর্জন ও সাফল্যকে মøান করে দিচ্ছে ছাত্রলীগের দুষ্কর্ম। এটা ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা বুঝেন না তা নিশ্চয়ই নয়। আওয়ামী নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের অপকর্মের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি নেয়ার কথা বলা হচ্ছে বারবার। কিন্তু বাস্তবে এসবের কোনো প্রতিফলন নেই। এখনো সময় আছে ওদের লাগাম টেনে ধরার। ছাত্রলীগ পরিচয়ধারীদের সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করতে শক্ত ভূমিকা নিতে হবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে; অভিভাবক রাজনৈতিক দলকে। অপরাধীর পরিচয় যাই হোক তাকে ছাড় দেয়া যাবে না- এটা যে কথার কথা নয়, তার প্রমাণ দিতে হবে নিজেদের পদক্ষেপে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়