ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক, আ.লীগ : দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন, নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন তাদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। অন্যথায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদতদাতা, উসকানিদাতা নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার সম্মুখীন হবেন। গতকাল সোমবার নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি। কাদের বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধানের নির্দেশে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। অপকর্ম করলে কেউ রেহাই পাবে না-শাস্তি তাদের পেতেই হবে। ছলে-বলে কৌশলে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় কেউ নির্বাচিত হলে শৃঙ্খলাবিরোধী অপকর্ম বলে গণ্য করা হবে।
এদেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সা¤প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক এবং নির্ভরযোগ্য ঠিকানা বিএনপি মন্তব্য করে কাদের বলেন, দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত এদেশে কারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, কারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। সেটা নতুন করে বলার বিষয় নয়। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করে। ১৯৯১ সালেও তারা ক্ষমতায় এসেছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আতাত করে। এ দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির আমলে। শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাইরা যে উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছিল তার প্রশ্রয়দাতা আর আশ্রয়দাতা ছিল বিএনপি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়, অন্যদিকে বিএনপি চায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে। সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র বানায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। ক্ষমতায় যেতে বিএনপিই ধর্মকে আর সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। তিনি প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদের আজান বন্ধ হয়ে যাবে, উলুধ্বনি বাজবে- এসব বক্তব্য কারা রেখেছিল? ধর্ম, সা¤প্রদায়িকতা আর ভারত বিরোধিতা তাদের কাছে রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড। এখন আর এসবে কেউ কান দেয় না। বিএনপির স্বার্থান্বেষী, ক্ষমতার রাজনীতি নতুন প্রজন্মের কাছেও স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতায় যেতে আওয়ামী লীগের কোনো ষড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনীতি করে বলেই জনগণ আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি, অন্যদিকে যারা ক্ষমতাকে নিজের ভাগ্য বদলের চাবি মনে করে এবং দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে, ষড়যন্ত্র, হত্যা, সন্ত্রাস নির্ভরতা রাজনীতি করে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়