ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

আলোর মুখ দেখছে না মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরী : প্লট বরাদ্দের পরও কাজ শুরু করেনি ৮৪ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ ইউসুফ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : মুখথুবড়ে পড়ে আছে মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরী। ২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে। দুই দফা বরাদ্ধ বাড়ানোর ফলে নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ৮৮টি প্লটের বরাদ্দ দেয়া হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে কারখানা নির্মাণকাজ শুরু করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো। বর্তমানে বিসিক শিল্পনগরে ২টি প্রতিষ্ঠানে মবিল ও কার্টন পরীক্ষামূলক উৎপাদন করা হচ্ছে এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের কারখানা নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্লট বরাদ্দ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে কারখানার লে-আউট জমা না দেয়ায় ইতোমধ্যে ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে তিন মাস সময় দেয়া হয়েছিল, যা গত সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়। লে-আউট জমা না দেয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বরাদ্দ বাতিল হতে পারে। যথা সময়ে বিসিক শিল্পনগরীর কাজ শেষ না হওয়া ও প্লট বরাদ্দ পাওয়ার পরও কারখানার নির্মাণকাজ শুরু না করায় আলোর মুখ দেখছে না দেশের ৭৫তম বিসিক শিল্পনগরীটি। সব কারখানা চালু হলে এখানে ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানা যায়।
বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন মিরসরাই পৌরসভার পূর্ব তালবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় ২০১০-২০১১ অর্থবছর প্রকল্পের জন্য ১৫ দশমিক ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রথম অবস্থায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২২ কোটি ৯৪ লাখ টাকায় একটি প্রকল্প হাতে নেয় বিসিক। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের প্রথম সংশোধনীতে ২ কোটি ১ লাখ বাড়িয়ে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয় এবং ২০১৩ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ১২ মে জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্প আকারে বরাদ্দ বাড়িয়ে ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা করা হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালের জুন মাসে। কাজ শেষ হওয়ার ২ বছর পর বরাদ্দের জন্য ৮৮টি প্লটের বিপরীতে ১১৪টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে ৮৮টি প্লট শিল্পোদ্যোক্তাদের বরাদ্দ দেয় বিসিক চট্টগ্রাম জেলা প্লট বরাদ্দ কমিটি। প্লটের প্রতি বর্গফুট জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা।
নাছির কেমিক্যালের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০১৯ সালের শেষে দিকে মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীতে সাড়ে ১১ শতাংশ জমি বরাদ্দ পাই আমরা। কারখানার নির্মাণকাজ শেষে পরীক্ষামূলক ট্রান্সফরমার রিসাইক্যালিং, গিরিজ, মবিল উৎপাদন করা হচ্ছে। বিসিক চট্টগ্রামের প্রমোশন কর্মকর্তা ও মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান জানান, মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর কাজ ২০১৭ সালে শেষ হলেও ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ৮৮টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান প্লট বুঝে পেয়েও কারখানা নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি। করোনার কারণে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন ৪টি প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্লট বুঝে পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে কারখানার লে-আউট জমা দিতে হয়ে। লে-আউট পাস হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে কারখানার নির্মাণ শুরু এবং ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার নিয়ম রয়েছে। প্লট বরাদ্দ পাওয়ার পর ১৯টি প্রতিষ্ঠান লে-আউট জমা দেয়নি। তাদের এলইসি সভায় তিন মাস সময় দেয়া হয়েছিল, যা গত সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়েছে। ওই প্লট মালিকদের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কারখানা নির্মাণকাজ চালু করার জন্য সব প্রতিষ্ঠানকে দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। প্লট বুঝে পাওয়ার পরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারখানা নির্মাণকাজ শেষ না করলে তা বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়