ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

আপিল বিভাগ : বিচারপ্রার্থীর কোর্টে দাঁড়ানো ফ্যাশন হয়ে গেছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আইনজীবী ছাড়াই একের পর এক বিচারপ্রার্থীর সরাসরি মামলার শুনানিতে দাঁড়ানো ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত বলেন, আজ (মঙ্গলবার) থেকে আইনজীবী থাকা সত্ত্বে কোনো বিচারপ্রার্থী আদালতে দাঁড়ালে ওই আইনজীবীর সনদ বাতিল করে দেয়া হবে। গতকাল সোমবার বেশ কয়েকজন বিচারপ্রার্থী সরাসরি মামলার নিষ্পত্তির আবেদন করতে আদালতে হাজির হলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন।
এদিন আপিল বিভাগের বিচার কাজ শুরু হলে প্রথমেই দুজন নারী বিচারপ্রার্থী দাঁড়িয়ে তাদের চাকরি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে সরাসরি আদালতে আবেদন করেন। তারা আদালতে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার প্রার্থনা করেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমাদের আইনমাফিক চলতে হবে। মানবিক আবেদন করবেন সরকারের কাছে। আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখব না। আমরা দেখব আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে। মানবিক দৃষ্টিতে দেখবে সরকার। কোর্টে কোনো মানবিকতা নেই। মানবিকতা এতটুকুই করতে পারব, মামলাটি তাড়াতাড়ি শুনব। পরে মামলাটি আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
এদিকে ওই দুই নারীর আবেদনের পরপরই আরেকজন বিচারপ্রার্থী তার আবেদন নিয়ে আদালতে হাজির হন। তিনি নিজেকে বেকার যুবক দাবি করে বলেন, আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরির জন্য দরখাস্ত করেছিলাম। সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে রায় পেয়েছি। মামলাটি আপিল বিভাগে অপেক্ষমাণ আছে। কিন্তু রেলওয়ে আমাদের নিয়োগ দিচ্ছে না। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা তো মহামুশকিল। আপনার আইনজীবী কোথায়? এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, চেম্বার আদালতে আবেদন না দিয়ে আপিলে চলে আসছেন কেন? একটা ফ্যাশন শুরু হয়ে গেছে, আইনজীবী ছাড়া কোর্টে এসে দাঁড়িয়ে যাওয়া। প্রধান বিচারপতি জানতে চান, আপনার আইনজীবী কে? জবাবে ওই বিচার প্রার্থী বলেন, পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু। তখন বিচারপতি ইমান আলী বলেন, আপনার আইনজীবী থাকতে আপনি এখানে দাঁড়াতে পারেন না।
এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আগামীকাল থেকে তো দেখছি লাইন লেগে যাবে। আইনজীবী থাকলে আপনি দাঁড়াতে পারেন না। আপনার মামলার এডভোকেট অন রেকর্ড যিনি আছেন তাকে দিয়ে আবেদন দেন। এরপর আরেকজন আদালতে দাঁড়িয়ে

বলেন, আমি মসজিদের মোয়াজ্জিম। আমি খুবই গরিব মানুষ। মানুষের জাকাত-ফেতরা নিয়ে খাই। স্যার আমার মামলাটা বন্ধ হয়ে রয়েছে। যদি দয়া করে একটু দেখতেন…।
একের পর এক এভাবে আইনজীবী ছাড়া সরাসরি কোর্টে দাঁড়ানোর ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এরপর থেকে যেসব আইনজীবীর মক্কেল সরাসরি কোর্টে এসে দাঁড়াবে আমরা তার সনদ বাতিল করে দেব। আগামীকাল থেকে যারা দাঁড়াবে তাদের আইনজীবী থাকলে তাদের সনদ আমরা পাঁচজন (আপিল বিভাগের বিচারপতি) মিলে বাতিল করে দেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়