ডেঙ্গুতে ৯১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত সাড়ে ২৩ হাজার

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সংঘাত থামছেই না : সংঘর্ষে জড়িতদের তালিকা করছে আ.লীগ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এক মাসে নিহত ৮, নির্বাচনী সংঘর্ষে ৩৮ নিহত

পরের সংবাদ

সাম্প্রদায়িক শক্তির ক্রমউত্থান বাংলাদেশকে গ্রাস করতে চায় > দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়ছি না : রানা দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন বলেন, এই সরকারকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থবান্ধব বলে মনে করা হয়। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার আগে তা প্রতিরোধে সরকার বা প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দল কারোর কোনো ভূমিকা নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসে আমাদের পরাজয় হয়ে গেছে। দেশ স্বাধীনের সাড়ে তিন বছর পর থেকে আওয়ামী লীগ ক্রমেই বদলে গেছে। আওয়ামী লীগ আর আগের আওয়ামী লীগ নেই। এই আওয়ামী লীগ এখন ১৯৪৮ সালের আওয়ামী মুসলিম লীগের দিকে ধাবমান। এই আওয়ামী লীগের অধীনে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। গতকাল রবিবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, বাঙালি জাতি আজ সাংবিধানিকভাবে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টানে বিভাজিত। এই বিভাজনকে জিইয়ে রেখে আর বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া যাবে না। এমনকি পাকিস্তানের সময়ের বাংলাদেশেও আমরা ফিরতে পারব না। আমরা স্লোগান দিতে পারব। কিন্তু মন দিয়ে মিছিলে যেতে পারব না। যেখানে সম্প্রীতিই নেই সেখানে সম্প্রীতির মিছিল বের করা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সংখ্যালঘুরা শান্তিতে থাকুক। কিন্তু দলের কয়জন তা চান, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সাম্প্রদায়িকতার ক্রমউত্থান বাংলাদেশকে গ্রাস করতে চায়। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গ্রাস করতে চায়। নব্বইয়ের পর থেকে, বিশেষ করে ২০০৮ সালের নির্বাচন ছাড়া যে নির্বাচনই হয়েছে; তা আমাদের কাছে কখনোই উৎসব হয়ে আসে না। নির্বাচন আমাদের কাছে আসে ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তথ্য সরকারকে দেয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের হার ক্রমেই কমছে। ২০ বছর পর এ সংখ্যা হয়তো শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, আমরা মাঠে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ না হবে, ২০১৮ সালে সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যলঘুদের সুরক্ষায় যে সব অঙ্গীকার করেছে, তা বাস্তবায়ন না হবে- ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। তিনি জানান, সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনা বন্ধে এবং নিজেদের দাবি আদায়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব বর্জন, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত মুখে কালো কাপড় বেঁধে নিজ নিজ মন্দিরে নীরবতা পালন এবং মন্দির ও মণ্ডপের ফটকে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী স্লোগান সংবলিত কালো কাপড়ের ব্যানার টাঙানো। ৪ তারিখের পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে। নভেম্বর মাসেই গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তা তুলে দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এক লাখের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে। জানুয়ারিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জাতীয় সম্মেলন। ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ‘চল চল ঢাকায় চল’ স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়