ডেঙ্গুতে ৯১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত সাড়ে ২৩ হাজার

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সংঘাত থামছেই না : সংঘর্ষে জড়িতদের তালিকা করছে আ.লীগ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এক মাসে নিহত ৮, নির্বাচনী সংঘর্ষে ৩৮ নিহত

পরের সংবাদ

এ সপ্তাহে নিহত ১০ : সুদানে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে হতাহত শতাধিক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করার পর রাজধানী খার্তুমে একটি বিক্ষোভে তিনজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। চিকিৎসকদের একটা কমিটি বলছে, গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে ওই তিনজন নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী আবদালাহ হামদককে আবারো ক্ষমতায় আনার জন্য গত শনিবার হাজার হাজার মানুষ রাজধানী খার্তুমসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ করে। খবর বিবিসি।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য গুলি চালানোর বিষয়টি নাকচ করে দেন। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা বলছে, অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে গুলিতে। গত সোমবার অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান বেসামরিক সরকার ভেঙে দেন এবং রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করেন। তিনি দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তার পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গৃহযুদ্ধ’ এবং রাজনৈতিক হানাহানি এড়ানোর জন্য এটি করা হয়েছে। তবে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। খার্তুমে বিক্ষোভকারীদের সুদানের পতাকা হাতে নিয়ে ‘আমরা সামরিক শাসন চাই না’ এই স্লোগান দিতে দেখা যায়।

খার্তুমের প্রতিরোধ কমিটির একজন সদস্য শাহিন আল শাহিফ বিবিসিকে বলেন, এখানকার মানুষ খুব শান্তিপ্রিয়। বিক্ষোভকারীরা গুলির মুখেও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখবে। তবে বর্তমান অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে জেনারেল বুরহান তার সমর্থকদের হারিয়েছেন। এটা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির করা অভ্যুত্থান। তাকে কেউ সমর্থন করছে না। সুদানের একটি স্বাধীন সংস্থা, সেন্ট্রাল ডকটরস কমিটি জানায়, অমডারমানে সেনাসদস্যের গুলিতে তিনজন মারা গেছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ খবর অস্বীকার করে বলেন, কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এই সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ জনের বেশি মারা গেল। সুদানে ইন্টারনেট এবং যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যম বন্ধ রয়েছে এখনো। এমনকি চলাচলের ওপরও বিধিনিষেধ দিয়েছে সেনা সরকার।
সুদানে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে বেসামরিক নেতাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিরোধ চলছে। দুই পক্ষের মধ্যে ২০১৯ সালে যে চুক্তি হয়, তাতে সুদানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু আগেও বেশ কয়েকবার অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সেই লক্ষ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। সবশেষ অভ্যুত্থানের চেষ্টাটি চালানো হয় এক মাসের কিছু আগে। ক্ষমতা ভাগাভাগির ভিত্তিতে গঠিত পরিষদের প্রধানের পদে ছিলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান। তিনি বলছেন, এরপরেও সুদান বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রæতি থেকে সরে আসেনি। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়