ডেঙ্গুতে ৯১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত সাড়ে ২৩ হাজার

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সংঘাত থামছেই না : সংঘর্ষে জড়িতদের তালিকা করছে আ.লীগ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এক মাসে নিহত ৮, নির্বাচনী সংঘর্ষে ৩৮ নিহত

পরের সংবাদ

এক মঞ্চে সব ধর্মের প্রতিনিধিরা : যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ করে দেয়া সরকারের দায়িত্ব

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এক মঞ্চে উপস্থিত হয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির আহ্বান জানালেন সব ধর্মের প্রতিনিধিরা। ‘শান্তি ও সম্প্রীতির লক্ষ্যে আন্তঃধর্মীয় ঐক্য’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক হয়ে তারা এ আহ্বান জানান। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় পূজামণ্ডপ ও হিন্দুরের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল রবিবার ঢাকায় লেক শোর হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন।
তরিকতের এই ধর্মীয় ঐক্যের ডাক অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করে সম্প্রীতির অনুষ্ঠানে ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার না হওয়ায় এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। কুমিল্লাসহ সব ঘটনার দ্রুত বিচার না হলে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনান্দাপ্রিয় বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাড়াতে হবে। ধর্মীয় নেতাদের ঐক্য এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করি। ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি। চার্চ অব বাংলাদেশের বিশপ সৌরভ ফলিও বলেন, কোনো ধর্মেই প্রতিবেশীকে ঘৃণা করার কথা বলা হয়নি। সম্প্রতি বাংলাদেশে আমরা যা দেখেছি, তাতে সৃষ্টিকর্তা খুশি হননি। আমরা আমাদের শিশুদের মধ্যে যে বীজ বপণ করে দেব, সেভাবেই তারা গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার বইয়ে সব শিশুর জন্য একই শিক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। শিশুরা জানুক সৃষ্টিকর্তা এক, সব মানুষ এক, সবাইকে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা কারিকুলামে ছাত্রছাত্রীদের সব ধর্মের সহিষ্ণুতার বিষয়টি শিক্ষা দিতে পারি। তাহলে শিশুদের মধ্যে শৈশবকাল থেকেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়-দায়িত্ব অন্য ধর্মানুসারীদের হেফাজত করা। সংখ্যালঘু কথাটি সংবিধানসিদ্ধ নয়। এটা আমাদের আবিষ্কার। আমাদের শপথ হবে একটাই, বাঁচার লড়াইয়ের জন্য সব ধর্মীয় নেতা ঐক্যবদ্ধ থাকবে আগামী দিনের শান্তির জন্য। আওয়ামী লীগের জোট শরিক দলের এই নেতা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জঙ্গিবাদী মন-মানসিকতার লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু বিএনপি-জামায়াতের কথা বলে দায় এড়ানো যাবে না। সব ধর্মের লোকদের যার যার ধর্ম পালন করার সুযোগ করে দেয়াও সরকারের দায়িত্ব।
কুমিল্লার ঘটনার প্রসঙ্গে মাইজভান্ডারী বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় ওসি পবিত্র কুরআন শরিফ হাতে নিয়ে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে দেশ ও জাতির সামনে ঘটনাটিকে হাইলাইট করেছেন। ওসির দায়িত্ব ছিল বিষয়টিকে হাইড করা, যাতে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা না হয়। এটা পবিত্র কুরআন শরিফ অবমাননা। ওসির এই ঘটনাও সাম্প্রদায়িক উসকানির মধ্যে পড়ে। সে যদি দায়িত্বশীল হতো, তাহলে কুমিল্লার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটত না। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, ইসলামী চিন্তাবিদ ড. আহসানুল হাদী, মহিলা পরিষদের নেত্রী জয়ন্তী রায় প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়