মিয়ানমার ছায়া সরকার ও মার্কিন প্রতিনিধির বৈঠক

আগের সংবাদ

ইএফডির দাম নিয়ে জটিলতা : দোকান নির্ধারণ করবেন ভ্যাট কর্মকর্তারা, বিপাকে পড়বেন ছোট ব্যবসায়ীরা

পরের সংবাদ

সৈয়দপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এটি উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের জানেরপাড়া এলাকায়। গেল বর্ষায় বাঁধটিতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় অধিবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি-বালু ফেলে এবারের মতো রক্ষা করেছে। উজানের ঢল আর বৃষ্টির পানিতে খড়খড়িয়া নদীটি টইটুম্বুর হয়ে যায়। বৃদ্ধি পায় স্রোত। এতে করে দেখা দেয় ভাঙন। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ঈদগাহ মাঠসহ ফসলি জমি খড়খড়িয়া নদীর পেটে গেছে। জানেরপাড়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি বর্ষায় ভাঙলে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হবে স্থানীয় মানুষ। ডুবে যাবে ফসলি ক্ষেত। গৃহহারা হবে শত শত মানুষ। এ কারণে বাঁধটি নতুন করে নির্মাণের দাবি উঠেছে।
কথা হয় এলাকাবাসী জিয়াউল হক বাবু, আব্দুল মজিদ ক্যাংকর, শহিদুল মিস্ত্রি, আবু হানিফ, বাবলু, আমিনুল, আফজাল, জহির, মোকছেদ ও খলিল ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে। তারা জানান, ওই বাঁধটি শুধু ফসলি জমি বা মানুষের বাড়িঘর রক্ষা করে না, ওই বাঁধের ওপর দিয়ে হালকা মোটরযানসহ মানুষ চলাচল করে। কমপক্ষে ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বাঁধটি ব্যবহার করে উপজেলা শহরসহ স্থানীয় পোড়ারহাটে যাতায়াত করছে। কয়েকশ শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসা করে এই বাঁধের ওপর দিয়ে। ক্ষেতের শাকসবজি শহরে নিয়ে যেতে হলে এ বাঁধটিই মানুষের ভরসা। সে কারণে বর্ষা মৌসুমে বাঁধটি নদীর পানির স্রোতে কোনোভাবে ভেঙে গেলে হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়বে। ওইসব ব্যক্তি আরো জানান, বাঁধটি সংস্কারের ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের শতবার অনুরোধ করেও কোনো ফল মিলেনি। বর্ষা শুরু হলে বাঁধের পাড়ের বাসিন্দারা নিদ্রাহীন রাত কাটান। কখন কোন সময় স্রোতের তোড়ে ভেঙে যায় বাঁধটি। তাদের কথা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা এ বাঁধটি সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধাই করা হলে দীর্ঘদিন টেকসই হবে। রক্ষা পাবে শত শত কোটি টাকা মূল্যের ফসল। বর্ষাকালে নিদ্রাহীন থাকবে না বাঁধ পাড়ের মানুষ। নির্বিঘেœ-নিশ্চিন্তে চলাচল করতে পারবে পথচারীসহ শিক্ষার্থীরা। হালকা মোটরযান চলাচলেও হবে না কোনো বাধা। এজন্য ওই জনপদের মানুষ এবারের বর্ষার আগেই বাঁধটি পুনর্নির্মাণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কথা হয় বোতলাগাড়ী ইউপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রেহানা বানুর সঙ্গে। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। জানেরপাড়া এলাকায় খড়খড়িয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রতিরক্ষা বাঁধের বেহাল অবস্থা বিষয়ে কথা হয় বোতলাগাড়ী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, জনস্বার্থে বাঁধটি পুনর্নির্মাণ জনদাবিতে পরিণত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়