চট্টগ্রাম অফিস : যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরার আদালত এ আদেশ দেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার চিকিৎসক স্ত্রীর দায়ের করা গত ২৬ আগস্টের মামলায় সেদিন ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে মিরসরাই উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এই মামলায় বাদীর আইনজীবী শেখ মো. আল জাবেদ বলেন, ‘মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার দেয়া প্রতিবেদনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই আদালত আসামি ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদী আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জানান, তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’ যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে তার চিকিৎসক স্ত্রী চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলাটি করেছিলেন।
চট্টগ্রামে এই ট্রাইব্যুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাটি করা হয়। আসামি সার্জেন্ট ইকবাল হোসেন বর্তমানে খুলনায় কর্মরত। বাদী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট এলাকায় একটি ক্লিনিকে কর্মরত। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। বাদীর মা-বাবা থাকেন ইতালিতে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকার সাভারে থাকা একটি বাড়ি ও একটি প্রাইভেট কার দখল নিতে চাপ দিচ্ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন। ইতোমধ্যে তিনি কিছু টাকা এবং স্ত্রীর গহনা আত্মসাতও করেছেন। এর মধ্যে গত ২৫ জুলাই যৌতুকের জন্য মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের বাসায় ইকবাল স্ত্রীকে মারধর করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। তখন ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এরপর ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার, কুমিল্লা ও সবশেষ খুলনায় বদলি করা হয়।