কাগজ প্রতিবেদক : পূজামণ্ডপে হামলায় ‘মদত’ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। নতুন দল ‘বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ’ গঠনের একদিন পরই গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ জিডি করা হয়েছে। জিডিতে নাম রয়েছে যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমানেরও। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বাদী হয়ে মামলার আবেদন করলে পুলিশ সেটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করে।
মামলার আবেদনে আল মামুন উল্লেখ করেন, গত ১৫ অক্টোবর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিজয়া দশমীর পূজা উৎসবে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ নামক জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক সংগঠনের স্থানীয় কতিপয় নেতা বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে নুরুল হক নূর ও রেজা কিবরিয়ার নির্দেশে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা চালায়। যাদের কেউ কেউ পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার হয়। এছাড়া নূরুল হক নূর চট্টগ্রামের জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপে হামলাকারীদের নিরপরাধ বলে বক্তব্য দিয়েছেন, যা সাম্প্রদায়িক হামলাকে উসকে দেয়ার শামিল। উক্ত ঘটনার পরপরই এবং অতীতে বিভিন্ন সময়ে যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান ফেসবুকে লাইভ করে উক্ত ঘটনা অস্বীকার করে বলে যে, তা ২০২০ সালের সিসিটিভি ফুটেজ। একই সঙ্গে এ ঘটনার আগে ও পরে লাইভ করে ভারতকে ‘চিটিংবাজ’ দেশ এবং দেশটির আদর্শ ও নীতি নেই মন্তব্য করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে আবেদনে অভিযোগ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, এরূপ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের মধ্যে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে ও উসকানি দিয়ে কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মন্দিরে হামলায় বিএনপি জামায়াতের কর্মীদের উসকে দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বৈধ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এজাহারের আবেদনে দাবি করা হয়, গত মঙ্গলবার পল্টনে জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতের সঙ্গে জোট করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা দেশের প্রচলিত আইন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালের হিন্দু সংখ্যালঘুদের মন্দিরে হামলা, ভাঙচুরের নির্দেশ গোপনে নূর, রেজা কিবরিয়া ও তারেক রহমান গং-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও মদতে সম্পন্ন করায় এই তিনজন আসামি সাম্প্রদায়িক হামলার মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ সংঘটিত করেছে বিধায় মামলা রুজু করা আবশ্যক।
শাহবাগ থানার ওসি মওদূত হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি রাজনৈতিক ও সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত। তাই আমরা প্রাথমিকভাবে এটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করে সাইবার ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়েছি। সাইবার ডিপার্টমেন্টের মতামত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।